প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গত ২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পরবর্তী কর্মসূচি বেঁধে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাশে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ হবে। যেখানে প্রত্যেক সপ্তাহে তৃণমূলের প্রত্যেকটি শাখা সংগঠন পালা করে বাংলা ও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে যেভাবে অত্যাচার করছে বিজেপি, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। সেই মত সেখানে এতদিন ভালো করেই প্রতিবাদ কর্মসূচি করছিল তৃণমূল। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ সেনার পক্ষ থেকে তৃণমূলের সেই অবস্থান মঞ্চ খুলে নেওয়া হয়। আর সেই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মেয়ো রোডে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণ আগেই খবর আসে যে, মেয়ো রোডে তৃণমূলের যে অবস্থান মঞ্চ, তা খুলে ফেলছে সেনাবাহিনী। সেনার কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে জানা যায় যে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাই তারপরে যেহেতু আর অনুমতি নেই, তাই সেই মঞ্চ খুলে ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তারা তাদের অনুমতিপত্র দেখানোর পাশাপাশি কেন এভাবে মঞ্চ খোলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। আর এসবের মধ্যেই যখন ক্রমাগত চর্চা চলছে, ঠিক তখনই সেই মেয়ো রোডে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই সকলের এখন নজর যে, মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় পৌঁছে দলকে ঠিক কি বার্তা দেন এবং গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঠিক কি বলেন!
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই এলাকায় পৌঁছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, সেই অনুমতি পত্র দেখতে চান। আর তাকে সেই অনুমতি পত্র দেখান তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। এদিকে গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকলের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হয়ত কড়া ভাবে গোটা ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেনার পক্ষ থেকে যেভাবে মঞ্চ খুলে নেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানেই কি প্রতিবাদ আরও জোরদার করা হবে, নাকি অন্য কোনো কর্মসূচি বেঁধে দেবেন তৃণমূল নেত্রী, তা নিয়েও ক্রমশ গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা পরম্পরা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।