প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর হওয়ার পর থেকেই হয়ত তৃণমূলের নেতাদের মাথা কার্যত ঠিক থাকছে না। তারা এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। সম্প্রতি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই তার মন্তব্ কে বিরোধীরা খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তবে তিনি এবার রাজ্যপাল এবং রাজভবনকে উদ্দেশ্য করে যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে রীতিমত জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এমনকি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় “রাজভবনে বিস্ফোরক মজুত আছে” বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজভবন সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এবার কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়ে রাজভবন রীতিমত ফাঁকা করে দিয়ে বম্ব স্কোয়াডকে দিয়ে তল্লাশি চালালেন রাজ্যপাল।
সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বৈরথ। যেভাবে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবন এবং রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়। রাজভবনের পক্ষ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বলেছিলেন যে, রাজভবনে বিস্ফোরক মজুত আছে, তা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। নাগরিক সমাজের জন্য রাজভবন খুলে দেওয়া হয়। এমনকি প্রশ্ন তোলা হয় যে, রাজভবনের বাইরে তো গেটে রয়েছে রাজ্য পুলিশ। তাহলে যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটেই থাকে এবং রাজভবনের ভেতরে যদি বিস্ফোরক মজুত থাকে, তাহলে তো রাজ্য পুলিশের নজরদারি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। আর এবার তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেই রাজভবনে পুলিশ কুকুর এবং বম্ব স্কোয়াডকে এনে তল্লাশি চালানো হলো। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই রাজভবনে কর্তব্যরত আধিকারিকদের রাজভবন ফাঁকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। আর তারপরেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফিরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “বিস্ফোরক মজুত আছে” যে মন্তব্য, তাকে চ্যালেঞ্জ করে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনে পৌঁছে যায় বম্ব স্কোয়াড। পুলিশ কুকুর দিয়ে গোটা রাজভবনের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। রীতিমত সকলের সামনে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যপাল তৃণমূল সাংসদের “বিস্ফোরক মজুত” এর যে মন্তব্য, তাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য যদি মিথ্যে প্রমাণ করে দিতে পারেন রাজ্যপাল, তাহলে তিনি সেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আরও বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।