প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে কোনোমতেই সম্পন্ন হতে দিতে চাইছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা প্রতিমুহূর্তে এসআইআরে যাতে মিথ্যে তথ্য আপলোড করা যায়, যাতে অবৈধ ভোটারদের নাম রেখে দেওয়া যায়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই এসআইআরের প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে। তবে ফলতায় বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান যাওয়ার সময় যেভাবে তাকে ঘিরে কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এই পরিস্থিতিতে যেখানে বিশেষ পর্যবেক্ষক পর্যন্ত সুরক্ষিত নন, সেখানে কিভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে? তাই সাধারণ মানুষের নাম করে যারা তৃণমূলের কর্মী হিসেবে এই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, অশান্তি করার চেষ্টা করেছেন, তাদেরকে টাইট দেওয়ার জন্য এবার রাজ্যে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন সেই দাবি করে তৃণমূলের অসভ্যতাকে বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বারবার করে বিরোধীরা দাবি করেছেন যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। এসআইআর প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আরও কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই বিএলওদের সুরক্ষার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের একটি মন্তব্য সামনে এসেছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কি এসআইআরের সময় রাজ্যে আসতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলেছে। তবে গতকাল ফলতায় যেভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই চাইছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক রাজ্যে। যারা এই অসভ্যতা করছে, তাদের অসভ্যতা এবার বন্ধ করার জন্য কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজন। কারণ পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখেই রাজ্যে অবৈধ ভোটারদের সরিয়ে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রয়োজন। আর বিভিন্ন মহল থেকে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি উঠছে, তখন তাকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার তো। গতকাল যেভাবে ফলতাতে তৃণমূলের লুচ্চারা ইতরামি করেছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এদের ভালো করে, যে ভাষায় কথা বললে এরা সন্তুষ্ট হয়, সেই ভাষায় কথা বলা উচিত।”