প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর নিয়ে যে বিরোধিতা করছেন, তা কার্যত বেনজির। গোটা দেশেই এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তার বিরোধিতা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা, তাতে অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না যে, এই বিরোধিতার কারণ কি! তবে বিরোধীরা, মূলত বিজেপি খুব ভালো মতই জানে যে, তৃণমূল কেন এত আতঙ্কিত? কারণ এসআইআর হলে ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার থেকে শুরু করে অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে। এতদিন এই সমস্ত ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল একের পর এক নির্বাচনে জিতে এসেছে আর এসআইআর শুরু হলে এদের নাম বাদ যাওয়া শুরু করলে, তৃণমূলের আর ক্ষমতায় থাকা হবে না। তাই প্রাণভোমরা ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এখন তৃণমূলের এই চিৎকার চেঁচামেচি বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ইতিমধ্যেই এসআইআর হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চূড়ান্ত তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। আর তার মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। কোথাও তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আক্রমণ করছেন, আবার কোথাও বা এসআইআরের মধ্যে দিয়ে ঘুর পথে এনআরসি করার চেষ্টা হচ্ছে বলেই দাবি করছেন। আসলে এই সমস্ত কিছুই যে আতঙ্ক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছেলেবেলায় শোনা গল্পের কথা উল্লেখ করে তৃণমূলের প্রাণভোমরা ধরা পড়ে গিয়েছে জন্যই তাদের এই ছটফটানি বলেই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলেন যে, রাক্ষসের প্রাণ, পুকুরের মধ্যে একটা ছোটো তালগাছ আছে। তালগাছের মধ্যে একটা ছোটো কৌটো আছে, সেই কৌটোর মধ্যে একটা ভ্রোমরা আছে। সেই ভ্রোমরার মধ্যে রাক্ষসের প্রাণ থাকে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই সরকার এবং সরকারের টিকে থাকার প্রাণটা ওইরকম ভোমরার মধ্যে আছে। আর সেই ভ্রোমরাটা হচ্ছে ভোটার লিস্ট। মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার, বাংলাদেশী ভোটার। স্বাভাবিকভাবেই সেই ভ্রোমরাকে যখন মারা হচ্ছিল, তখন রাক্ষস চেঁচামেচি করছিল। আর সেই কারণেই তৃণমূল নামক রাজনৈতিক রাক্ষস চেঁচামেচি করছে, কারণ তার প্রাণ ভ্রোমরাকে নির্বাচন কমিশন ধরেছে।”