প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বর্তমানে এসআইআরের বিরুদ্ধেই সবথেকে বেশি মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। যেখানে এসআইআর হলে কারও কোনো আপত্তি নেই, সেখানে তৃণমূল কেন এত ভয় পাচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের এই আতঙ্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ ভুয়ো ভোটার থেকে শুরু করে মৃত ভোটারদের নাম এসআইআর হলে বাদ যাবে। এতদিন এই সমস্ত অবৈধ ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে এসেছে। তাই এসআইআর হলে এদের নাম বাদ যাবে, এই ভয়ে এখন তৃণমূল এসআইআরের বিরোধিতা করছে। এসবের মধ্যেই এবার বিহারের মতই বাংলাতেও এসআইআর হলে তৃণমূলের হাওয়া যে বেরিয়ে যাবে, তা উল্লেখ করে শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এসআইআরের বিরোধিতা করে তৃণমূলের একের পর এক নেতা নেত্রীরা হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। কেউ বলছেন, বাংলায় রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে, আবার কেউ বা বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখা হবে বলে মন্তব্য করছেন। অনেকে আবার চোখ উপড়ে নেওয়ার মত হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। যা নিয়ে এসআইআর এত কেন গাত্রদাহের কারণ হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের, তা উল্লেখ করে পাল্টা খোঁচা দিচ্ছে বিজেপি। আর সেসবের মধ্যেই এবার তৃণমূলকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এসআইআর নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জানে যে, এসআইআর যদি বিহারের মত সঠিকভাবেই এখানে লাগু হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কারণ মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার এবং বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলিম, এই তিনটে ভোট যদি কাটা যায়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত দম ফুস হয়ে যাবে।”