প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই নিয়ে রীতিমত বিরক্ত দলীয় নেতৃত্ব। বিজেপিকে আটকানো তো দূরের কথা, আগে নিজেদের অশান্তি তারা সামাল দিক। তারপরে তারা রাজ্য দখল করবে বলে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন হতে হলো এক তৃণমূল কর্মীকে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানে।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বর্তমানে ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যেখানে এই রাজ্যের বুকে বিরোধীদের অপদস্ত করার থেকেও বেশি তৃণমূল নিজেদের গৃহযুদ্ধ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপস্থিতিতে জেলা বইমেলার অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন লাল্টু শিকদার নামে এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার সময় তারু শেখ নামে তৃণমূলের আর এক কর্মী তাকে হুমকি দেয়। পরদিন আবার সেই লাল্টু শিকদারকে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি প্রবল বচসা বাঁধলে তারু শেখ তার বুকে ঘুসি মারে বলে অভিযোগ। আর তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন লালটু শিকদার। পরবর্তীতে তাকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূল নাকি রাজ্য দখল করবে! কিন্তু যারা নিজেদের সংসারে শান্তি বজায় রাখতে পারে না, যাদের মধ্যে গন্ডগোল হয়, এমনকি তা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তারা কি করে রাজ্যকে শান্ত রাখবে? আসলে এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। তাই তৃণমূলের দ্বারা তৃণমূলের অনেক কর্মীরাও সুরক্ষিত নয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীদেরও নিজেদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার তৃণমূলকে বিসর্জন দিতে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।