প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের ঊর্ধ্বে কথা বলার মত যে ক্ষমতা তৃণমূল দলে আর কারও নেই, তা বলাই যায়। যার জন্য তৃণমূল দলকে লিমিটেড কোম্পানি বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। কিন্তু স্বয়ং দলনেত্রীর ঊর্ধ্বে কি এবার পৌঁছে গেলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল? কেননা বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বেশ কিছুটা সময় দেরি আছে। নির্বাচনের আগে প্রার্থী ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নেত্রীর সেই ঘোষণার আগেই সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন বীরভূমের কেষ্ট মন্ডল। যা নিয়ে দলের মধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বলা বাহুল্য, বীরভূম জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে এই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। দীর্ঘদিন জেল খেটে আসার পর বর্তমানে আবার জেলা রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে সেই অনুব্রতবাবুর শিবিরের সঙ্গে কাজল শেখের শিবিরের একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই এবার সাইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক মহিলা নেত্রীর নাম প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে প্রার্থী ঘোষণা করেননি, সেখানে কি করে আগেভাগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন কেষ্ট মন্ডল?

সূত্রের খবর, এদিন সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিলাবতী সাহার নাম ঘোষণা করেন অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে নিলাবতী সাহাকে বিধানসভা ভোটে জেতানোর আহ্বান জানান তিনি। আর প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে নেত্রী ঘোষণা করার আগেই যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল একটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, তিনি কি দলের ঊর্ধ্বে নিজেকে ভাবতে শুরু করেছেন? নাকি দল তাকে এই ঘোষণা করার অনুমতি দিয়েছে? অনেকে বলছেন, এটাও তো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের স্বরূপ। তাহলে কেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব? নেত্রীর ঘোষণার আগেই যেভাবে এই নাম ঘোষণা করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল, তাতে তো পরোক্ষে এটা নেত্রীকে অমান্য করা বলেই দাবি করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।