প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এমনিতেই বিজেপি মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে যে, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এসআইআরের ফলে সেই অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম কাটতে শুরু করেছে, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আগামী ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার কথা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বলায়। যার সঙ্গে দলের সম্পর্ক সেভাবে না থাকলেও, তিনি এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ত্যাগ করেননি। ফলে তার এই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে যে সমস্ত বক্তব্য এবং তা নিয়ে তিনি যে সমস্ত হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এটা কোনো গোপন এজেন্ডা নয় তো? আর বিরোধীরা যখন সেই প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক তখনই হুমায়ুন কবীরকে কটাক্ষ করে পাল্টা গর্জে উঠলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের ঘোষনাকে কেন্দ্র করে। অনেকে বলছেন, যে বাবর ভারতের শত্রু, যে বাবর ভারতের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে, তার নামে কেন মসজিদ করার চেষ্টা করছেন এই তৃণমূল বিধায়ক? এমনকি তাকে মসজিদ তৈরিতে বাধা দিলে তিনি যে ভয়ংকর কিছু ঘটিয়ে ফেলবেন, এইরকম অনেক কথাও হুমায়ুনবাবু বলেছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। স্বাভাবিকভাবেই যখন বিরোধীরা গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ করে, পুলিশের চোখে চোখ রেখে কথা বলে, তখন তাদের গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক এত বড় হুমকি, হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও কেন তিনি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, তাহলে কি তলায় তলায় তাকে সমর্থন করছে তৃণমূল? আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই এবার সেই তৃণমূল বিধায়ককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা রামের পক্ষে। এটা মন্দির, মসজিদের ব্যাপার নয়। একজন বিদেশি আক্রমণকারীর ব্যাপার। পশ্চিমবঙ্গ যে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে চলেছে, এখানেও যে বাংলাদেশের মত ধ্বনি উঠবে, রবীন্দ্রনাথের ছবি জ্বালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রনেতা সেটাই প্রমাণ করেছেন। আর পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলে হুমায়ুন কবীর সেটাই ঠিক করেছেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের অন্য যারা মানুষ রয়েছেন, তাদের চিন্তা করতে হবে, তারা মুর্শিদাবাদের মত পরিবেশে থাকবেন, তারা বাবরের সঙ্গে থাকবেন, না রামের সঙ্গে থাকবেন। এটা মানুষকে চিন্তা করতে হবে। তবে এই সমস্ত স্লোগান হিম্মত থাকলে করে দেখাক। সারা ভারতবর্ষের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে।”