প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এবং তাদের নেতা-মন্ত্রীরা এখন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে ব্যস্ত। যার ফলে হিন্দু সনাতলীদের প্রত্যেকটি উৎসবে বাধা দান করা হয়। কিন্তু একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে হিন্দুদের যেভাবে অপমানিত করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে বিরোধীরা। গোটা রাজ্য জুড়ে হিন্দুদের একত্রিত করার কাজ করে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এসবের মধ্যেই সকলে যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই এক আজব মন্তব্য করেছেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। আর তার এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, এক্ষেত্রে কেন প্রশাসন সতর্ক নয়? কেন হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসবে অন্য কোনো সম্প্রদায়ের মাইক বাজানোর সময় হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠানে ছেদ ঘটানো হবে?
ইতিমধ্যেই আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের একটি বক্তব্য সামনে এসেছে। যেখানে তিনি বলার চেষ্টা করছেন যে, দুর্গাপুজোর সময় অন্য সম্প্রদায়ের মাইক যখন বাজবে, তখন যেন দুর্গা পুজোর মাইক না বাজানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্য রীতিমত ফতোয়া বলেই মনে করছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, এত বড় সাহস এই তৃণমূল বিধায়কের হয় কি করে? তিনি হিন্দুদের পবিত্র অনুষ্ঠান তার মানে কাটছাঁট করার কথা বলছেন! অন্য কোনো সম্প্রদায় মাইক বাজাবে, তার জন্য হিন্দুদের দুর্গাপুজোর মত পবিত্র ধর্মীয় উৎসবে আচার অনুষ্ঠান সেই সময় বন্ধ রাখতে হবে? এখন কোথায় এই রাজ্যের প্রশাসন? কেন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে হিন্দুদের পবিত্রতম উৎসবে বাধা দান করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না পুলিশ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই রীতিমত তৃণমূল বিধায়কের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে তাকে পাল্টা সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রফিকুর রহমানের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভয়ংকর কথা বলছে, বাংলাদেশের ইউনুসের মত। আরে রফিকুর সাহেব বলে রাখলাম, কখন ঘন্টা বাজবে, কখন কাসর বাজবে, কখন মাইক বাজবে, কখন বাজনা বাজবে, সেটা হিন্দুদের রীতিনীতি শাস্ত্র অনুযায়ী হবে। আপনি সাউন্ড বাড়াবেন না কমাবেন, সেটা আপনি ঠিক করুন। কিন্তু আমি আমডাঙার হিন্দুদের বলছি, কোথাও যদি এভাবে বাঁধাদান করার চেষ্টা করে, আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করবেন। কলকাতায় থাকলে এক ঘণ্টার মধ্যে চলে যাব। আর বাইরে থাকলে দুই, তিন ঘন্টার মধ্যে চলে যাব। এর আগে আমি গার্ডেনরিচেও গিয়েছিলাম। রফিকুরের কথা শুনবেন না। ওরা মুসলিম লিগ টু করে। কখন ঘন্টা, কখন কাসর, কখন বাজনা হবে, সেটা রফিকুর ঠিক করবে না। এখনও এটা ইউনুসের পশ্চিমবঙ্গ হয়নি। মমতা চেষ্টা করছে হিজাব পড়ে। কিন্তু এখনও হয়নি।”