প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস শুধু পশ্চিমবঙ্গকেই ক্ষতির মুখে ফেলছে, তাই নয়। গোটা দেশের কাছেও বাংলার মান সম্মানকে রীতিমত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। কেননা গতকাল সংসদে একজন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ই-সিগারেট খাওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনা নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ। আর এর ফলেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি তৃণমূলের সেই সাংসদ যদি এই কাজ করে থাকেন, তাতে বাংলার মান সম্মান কি আরও নীচে নেমে গেল না? আর সেই বিষয়েই এবার গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বারবার এই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদের ভেতরে যে রীতিনীতি, তা না মানার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে তারা সংসদীয় পরম্পরাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন বলে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। আর গতকাল বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর তৃণমূলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদ কক্ষের ভেতরে ই সিগারেট খাওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ তোলেন। যে ঘটনা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই সংসদের ভেতরে তৃণমূলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে যে ই সগারেট খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “সংসদে বহুদিনের একটা পরম্পরা আছে। সেটা আমরা তৈরি করিনি। আমাদের আগেও যারা ছিলেন, তারাও সেটা মেনেছেন। কিন্তু সংসদে এই যে এই ধরনের অসভ্যতা, চিৎকার করা, সেটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হোক, কিংবা মহুয়া মৈত্র হোক, এরা বরাবর এরকম করেছেন, এটা নতুন কিছু নয়‌। আজ যদি এটা সত্যি হয়, এটা যদি ধরা পড়ে যে, তৃণমূলের একজন সাংসদ হাউসের মধ্যে ই-সিগারেট খেয়েছে, সেটা সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রের বিরোধী কাজ হয়েছে। এক্ষেত্রে সংসদের যে সম্মান, এবং সংসদের যে পবিত্রতা, সেটা তৃণমূল কংগ্রেস নষ্ট করেছে।”