প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতারাই যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা খুন হচ্ছেন, তাতে শাসকদলের নেতৃত্বদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে লড়াই করবে, না কি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাদের নেতাকর্মীদের প্রাণ যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এসবের মধ্যেই সম্প্রতি কোন্নগরে এক তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দ্রুত তদন্ত করে পুলিশ যাতে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে, তার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। অবশেষে সেই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কি কারনে এই খুন, তা নিয়েও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।

বস্তুত, সম্প্রতি কোন্নগরে তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনের ঘটনা ঘটে‌‌।  পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তবে সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত থমথমে হয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই খুনের ঘটনায় বারাসাত বেলঘড়িয়া থেকে প্রায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যেখানে প্রশাসনের অনুমান, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে কি কারনে এই খুন, তা নিয়ে বেশ কিছু অনুমান রয়েছে পুলিশের।

তবে সকলের এখন একটাই প্রশ্ন, ঠিক কি কারনে এই তৃণমূল নেতাকে খুন করা হলো? এর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ রয়েছে, নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই তাকে খুন করা হলো? নাকি অন্য কোনো কারণ? পুলিশের একাংশের অনুমান যে, এই খুনের পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক শত্রুতা জনিত কারণকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। পাশাপাশি এই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সুপারি কিলার কাজে লাগানো হয়েছিল বলেও অনুমান করছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই কোন্নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় চার ব্যক্তি গ্রেফতার হলেও, খুনের প্রকৃত কারণ কি এবং পুলিশি তদন্তে ঠিক কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।