প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি দেখলেই নাকি হেনস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই অভিযোগ দল এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তুলে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তার নিজের রাজ্যেই যে বাঙ্গালিরা সুরক্ষিত নয়, বাংলার মানুষরা যে তার দলের নেতাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন, এটা কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসছে না? এবার তপশিলি এক সাফাই কর্মীকে যেভাবে মারধর করলেন এক তৃণমূল নেতা এবং যেভাবে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর অন্য রাজ্যের দিকে না তাকিয়ে নিজের রাজ্যের দিকে তাকানো উচিত এবং বাংলায় বাঙালিরা সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, সেই দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কি ঘটনা ঘটেছে?
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ঘটনা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও বা তার সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া। তবে সেই ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, এক ব্যক্তি এক সাফাই কর্মীকে বেধড়ক মারধর করছেন। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, যে ব্যক্তি সেই সাফাই কর্মীকে মারধর করছেন, তিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী বাপি চক্রবর্তী। আর এখানেই প্রশ্ন যে, একজন কাউন্সিলরের স্বামী হয়ে কি করে তিনি একজন সাফাই কর্মীর গায়ে হাত তুলতে পারেন? সাফাই কর্মী বলে কি তাদের বিন্দুমাত্র সম্মান নেই? এটাই কি তৃণমূলের সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্মান দেওয়ার নীতি?
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, অবিলম্বে এই তৃণমূল কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেফতার করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেন যে, বিজেপি নাকি সমস্ত ধর্মের মধ্যে গন্ডগোল লাগিয়ে দিতে চাইছে! তফসিলী, রাজবংশীদের প্রতি নাকি বিজেপির কোনো সম্মান নেই! কিন্তু তার দল তো পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। সেখানে বাঙালিরা সুরক্ষিত বলে যতই দাবি করা হোক, যেভাবে এক সাফাই কর্মীকে মারধর করলেন তৃণমূলের এক নেতা, তাতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলবেন? দলগতভাবে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে তো! নাকি অনুব্রত মণ্ডলের মতো তিনিও ছাড় পেয়ে যাবেন? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।