প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এসএসসির পক্ষ থেকে ১৮০৬ জন দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই তালিকাকে হাতিয়ার করেই বিরোধীরা শাসককে কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছে যে, এই তালিকার মধ্যে দিয়েই তো প্রমাণিত যে, রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগকে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, অনিয়ম হয়েছে। তাই এসএসসি এই তালিকা প্রকাশ করে প্রমাণ করে দিলো যে, এই রাজ্য সরকার চোর। এদিকে ক্রমাগত এসএসসির এই তালিকাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। তারা এটাও দাবি করছে যে, তালিকায় অনেক তৃণমূল বিধায়কের বৌমা, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। তবে শুধুই কি তৃণমূল? এবার এসএসসির যে দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তার মধ্যে এক বিজেপি নেতার ছেলের নাম রয়েছে বলেও জানা গেল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, এসএসসির পক্ষ থেকে ১৮০৬ জনের যে দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, অযোগ্য যারা রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এর মধ্যেই বিজেপিকে চাপে ফেলে সামনে এলো আরও বড় খবর। যেখানে জানা গেল যে, বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অবনী মন্ডলের ছেলে অতনু মন্ডলের নাম রয়েছে এসএসসির এই দাগি অযোগ্যের তালিকায়। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি নেতার ছেলের নাম অযোগ্যের তালিকায় থাকতেই রীতিমত গেরুয়া শিবিরকে চেপে ধরতে শুরু করেছে শাসক শিবির।
জানা গিয়েছে, ভাঙ্গরের নারায়ণপুর হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক এই অতনু মন্ডল। যিনি এক বিজেপি নেতার ছেলে। এসএসসির পক্ষ থেকে যে দাগি অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ২০০ নম্বরে নাম রয়েছে এই অতনু মন্ডলের। যদিও বা তার বাবা তথা বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডলের দাবি, তার ছেলে প্রতিভাবান। যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তার ছেলে আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তবে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পর কি তার ফলাফল হবে, সেটা সময় বলবে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তাতে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতারাষ এক ছেলের নাম এসএসসির দাগি অযোগ্যের তালিকায় থাকতেই এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে যে এবার বিজেপিকে পাল্টা চাপে রাখার কৌশল পেয়ে গেল তৃণমূল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।