প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের প্রচুর সরকারি কর্মচারীরা তো বটেই, এমনকি গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষরাও তাকিয়ে রয়েছে এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। আদালত ছাড়া এই রাজ্যের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার যে আর কোনো মাধ্যম নেই, তা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলা। ইতিমধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ রাজ্য সরকার পালন করেনি বলেই অভিযোগ উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দেয়, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজ্যবাসীর।
বস্তুত, গতকালও সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু গতকাল সেই শুনানি হয়নি। আজ আবার সেই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে এই মামলার গুরুত্ব অনুভব করে দ্রুত তার নিষ্পত্তির কথা উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। স্বাভাবিকভাবেই এই সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট বড় কোনো নির্দেশ দিতে পারে বলেই আশা রাখছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন যে, রাজ্যের কোষাগারে নাকি টাকা নেই। অথচ ক্লাবগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে তার অর্থনৈতিক ভান্ডারে কোনোরকম টান পড়ে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই এই যুক্তিকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোও কেন সরকারি কর্মচারীদের এইভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাই একদিকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যকে ২৫ শতাংশ ডিএ ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, রাজ্য যেভাবে তা পালন করেনি, তাকে হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে যুক্তি তর্কের শেষে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিনের শেষে সরকারি কর্মচারীদের স্বস্তি দিয়ে বড় কোনো নির্দেশ দেয় কিনা শীর্ষ আদালত, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।