প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিহারের ফলাফল দেখে এখন রীতিমত পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এতদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় তোষণের রাজনীতি করেছিল কংগ্রেস। আর আজ সেই রাজনীতি করতে গিয়ে কংগ্রেসের এমন পরিস্থিতি যে, তারা বিহারে হাতেগোনা কয়েকটি আসন পেয়েছে। ফলে কংগ্রেসের থেকে বড় দল তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত নয়। এরা একটি আঞ্চলিক দল। আর এই তোষনের রাজনীতিকে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুরুত্ব দিয়ে চলেছে, তাতে এই তৃণমূল দলেরও যে ধ্বংসের দিনে এগিয়ে আসছে, তা স্মরণ করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই বিহারের যে ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে কংগ্রেসের আর মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই। তাদের মত একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের যে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে, তা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে একের পর এক কৌতুকের মধ্যে দিয়ে আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা। অনেকে বলছেন, কংগ্রেস যেভাবে এতদিন তোষণের রাজনীতি করে এসেছে বিভিন্ন রাজ্যে, তার ফল তারা এখন হাতেনাতে পেয়েছে। তাদের প্রতি মানুষের আর কোনো ভরসা নেই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, পশ্চিমবঙ্গেও তো ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজের ভোটব্যাংক ধরে রাখার জন্য তোষণের রাজনীতি করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে তেমনটাই অভিযোগ করা হয়। তাহলে কি কংগ্রেসের মতই করুণ পরিস্থিতি হবে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের?

এদিন কংগ্রেসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসেরও যে সময় শেষের মুখে, তা নিয়ে বড় মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “যারা তোষণের রাজনীতি করে, সেই তোষণের রাজনীতি করা দলগুলোর ভারতবর্ষের রাজনীতিতে স্থায়িত্ব ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তাদের সাফল্য কমে যাচ্ছে। কংগ্রেসের থেকেও এককাঠি ওপরে তোষণকারী দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তৃণমূল কংগ্রেস নামক দলও শেষ হয়ে যাবে।”