প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও বহুবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে, শোকজ করা হয়েছে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য। কিন্তু তারপরেও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। উল্টে দলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করে বসছেন, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, যে তার বক্তব্য রীতিমত তৃণমূলের কাছে অস্বস্তি জনক হয়ে উঠছে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে। এবার প্রকাশ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে গোটা রাজ্য জুড়ে নজর রাখলেই দেখতে পাওয়া যাবে যে, তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ কোন পর্যায়ে ধারণ করেছে! বিভিন্ন জেলায় জেলায় তৃণমূলের কর্মীরা তৃণমূলের হাতেই খুন হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার প্রকাশ্যেই দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তার দাবি, “তৃণমূলের কর্মীদের অমর্যাদা হলে তিনি প্রতিবাদ করবেন। সেটা অপূর্ব সরকারই হোক বা খলিলুর রহমান বা চ্যাং ব্যাং যেই হোক না কেন, তিনি প্রতিবাদ করে যাবেন।” পাশাপাশি চোর প্রধানদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে তিনি তার লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং দলের ঝান্ডাকে শক্তিশালী করবেন বলেও প্রকাশ্য সভা থেকে জানিয়ে দেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
আর এখানেই তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এভাবেই তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে। বিরোধীরা নয়, তৃণমূলের নেতারাই যারা তৃণমূলে এখন বঞ্চিত, তারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে ভোট করাবেন। হুমায়ুন কবীরের মত বিধায়ক যেভাবে প্রকাশ্যেই দলের জেলা সভাপতি এবং সাংসদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। তাই বিরোধীদের আটকানো তো অনেক পরের কথা, আগে নিজেদের কোন্দল সামাল দিক তৃণমূল। তারপরে তারা ২০২৬ এ ক্ষমতা দখলের কথা ভাববে বলেই খোঁচা দিচ্ছে পদ্ম শিবির।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হুমায়ুন কবীরের এই ধরনের দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মত মন্তব্য নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জেলায় জেলায় তৃণমূল বনাম তৃণমূলের কোন্দল মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর তার মধ্যে দলের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তার পরেও যেভাবে তাকে উপেক্ষা করে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, সাংসদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভা থেকে সোচ্চার হচ্ছেন হুমায়ুন কবীর, তাতে দলেরই গৃহযুদ্ধ নিয়ে ২৬ এর নির্বাচনের আগে রীতিমত অতিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি একাংশের। বিরোধীদের আটকানোর পাশাপাশি কি করে তিনি অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে সামাল দেবেন, এটাই এখন তার কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।