প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শুধু বিরোধীরা নয়, এই রাজ্যে শাসক দলের যারা নেতাকর্মীরা রয়েছেন, তারাও জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় খুব একটা খুশি নন। মুখের সামনে প্রকাশ্যে হয়ত তারা কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু তলায় তলায় তারাও বিরোধীদের অনুন্নয়ন নিয়ে যে সমস্ত অভাব অভিযোগ রয়েছে, চুরি, দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্ত অভাব অভিযোগ রয়েছে, তা অনেকেই তৃণমূলের মধ্যে যারা একটু আধটু হলেও সৎ মানুষ রয়েছেন, তা তারা সমর্থন করেন। অন্তত বিরোধীদের পক্ষ থেকেও এমন কথাই বলা হয়। কিন্তু এই রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের টিকিটে জিতে যারা বিধায়ক, যারা সাংসদ হয়েছেন, তারা ভোটে জেতার পর আর কর্মীদের অভাব, অভিযোগকে গুরুত্ব দেন না। অনেক জায়গা থেকেই এই অভিযোগ উঠে আসে। আর আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আউসগ্রাম বিধানসভায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলেরই কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। আর সেই সময় একজনের ভিডিও করা দেখে রীতিমত মেজাজ হারালেন এই তৃণমূল সাংসদ।

এই রাজ্যের বুকে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, আর কতটা দুর্নীতি হয়েছে, তার তুল্যমূল্য বিচার করতে দেখা যায় বিরোধী নেতাদের। কিন্তু শাসক দলের জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকার উন্নয়ন যে ঠিকমত হয়নি, সেই ব্যাপারে অনেক জায়গাতেই প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও। আর তা প্রমাণ হয়ে গেল আজ আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। আর সেখানেই তাকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের একটা অংশ প্রশ্ন তোলেন যে, এতদিন তিনি কি কাজ করেছেন? আর সেই সময় তৃণমূল সাংসদ দেখেন যে, একজন তার ভিডিও করছে। আর তা দেখেই রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি।

এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, শুধু বিরোধীরা নয়, তৃণমূল কর্মীরাও জনপ্রতিনিধিদের ব্যবহার এবং তাদের কাজে চরম অসন্তুষ্ট।আর প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদকে তার উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি ক্ষেপে গিয়েছেন। যার ফলে কর্মীদের সঙ্গেও তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন। আর এতেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের কর্মীরাই তৃণমূলের নেতা এবং জন প্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন। আগামী দিনে রাজ্যবাসী তো বটেই, তৃণমূলের টিকিটে জিতে যারা এখন বড় বড় পদে বসে রয়েছেন, তাদের সরানোর জন্য তৃণমূল কর্মীরাই যথেষ্ট বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।