প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রকৃতি কখন তান্ডব রূপ ধারণ করবে, তা কেউ বলতে পারে না। এর আগেও উত্তরাখন্ডে প্রকৃতির বিভীষিকাময় রূপ অনেকের কোল খালি করে দিয়েছিল। আর এবার হড়পা বানে ফের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে তৈরি হয়েছে শোকের আবহ। যেখানে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির ফলে ভূমিধ্বস এবং হড়পা বান শুরু হওয়ার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন মানুষ। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ প্রায় ৫০ জন মানুষ।
ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। যেখানে পাহাড়ের ওপর থেকে যে জল পড়ছে, তাতে তৈরি হয়েছে বিধ্বংসী পরিস্থিতি। প্রকৃতির এই তান্ডব রূপ শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা কেউ মনে করতে পারছেন না। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে ধরালী গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে জলের তলায় চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও উদ্ধারকার্যে নেমেছে এসডিআরএফ এবং এনডি আরএফের বাহিনী। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৫০ জন মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। তবে উদ্ধার কার্য যত বেশি করে শুরু হবে, ততই এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা ভেবে অনেকেই শিউরে উঠছেন।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। যারা গোটা ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “ধরালীর হড়পা বান নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি আইটিবিপির তিনটি দল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনীর চারটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে।” তবে প্রকৃতির এই রুদ্ররূপে এখনও পর্যন্ত যে মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে যাতে আর সেই সংখ্যা না বাড়ে এবং আর কেউ যাতে নিখোঁজ না হন, পরমেশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনাই করছে গোটা দেশবাসী।