প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যখনই বন্যা হয়, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন রকম যুক্তি সামনে আনেন। কখনও তিনি বলেন, ডিভিসি জল ছেড়েছে, কখনও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বাঁধ মেরামতির কথা বলেও তারা সাহায্য করেনি। আবার কখনও নেপাল ভুটানের ওপর দায় চাপিয়ে দেন। উত্তরবঙ্গে যখন বন্যা বিপর্যয় হয়েছে, যখন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন, তখন তিনি আবার ভুটানের জলকেই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছেন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কটাক্ষ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ভূগোল বই দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মুখ্যমন্ত্রীকে এমন সমস্ত কথা বলে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, যার ফলে সকলেই হাসতে শুরু করেছেন।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে উত্তরবঙ্গে বন্যা বিপর্যয় প্রচুর মানুষের ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকের ঘর ভেঙে গিয়েছে। অনেকের মাথার ওপরে কোনো ছাদ নেই। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও কটাক্ষ করা হচ্ছে। তবে তার মাঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে ভুটানের থেকে আসা জলকে দায়ী করেছেন। আর সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কৌতুকের ছলে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সব কিছু বলতে পারেন। আমরা তো ভেবেছিলাম, ট্রাম্পকে ধরবেন। তাও ভুটানে গিয়েছেন, ভাগ্য ভালো। দেখুন, একটা নদী উঁচু থেকে নীচুতে নামে। এটা প্রকৃতির নিয়ম। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু আমরা তো পরিবর্তন করতে পারব না। আর উচ্চ অববাহিকায় যারা থাকে, তাদের যেমন কিছু পজিটিভ পয়েন্ট আছে, তেমন নেগেটিভ পয়েন্টও আছে। ঠিক তেমনই নিম্ন অববাহিকায় যারা থাকে, তাদেরও কিছু পজিটিভ পয়েন্ট আছে, নেগেটিভ পয়েন্ট আছে। যেমন পলিটা আমরা পাই। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে বোঝাবে? বোঝাতে গেলে তো ভূগোল পড়াতে হবে। তাহলে উনি যদি বলেন, তাহলে ওনাকে আমি চেষ্টা করে ভূগোল পড়াতে পারি।”