প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কথায় কথায় দাবি করে যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি তাদের বঞ্চিত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার নাকি রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। কিন্তু বারবার করে তৃণমূল সরকারের সেই যুক্তিখন্ডন করে বিভিন্ন তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়ে এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা বুঝিয়ে দেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কোনোভাবেই বাংলাকে বঞ্চিত করছে না। বরঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে যে পরিমাণ টাকা পাঠানো হচ্ছে, তার নয়ছয় করছে এই রাজ্যের সরকার। আর এসবের মধ্যেই এবার উত্তরবঙ্গের কদিন আগে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বিপর্যয় ত্রান তহবিল নিয়ে রাজ্যকে রীতিমত চাপে ফেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিপুল উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন। এমনকি উত্তরবঙ্গের মানুষদের পাশে তারা সব সময় আছেন, তারা উত্তরবঙ্গের বিপদে তাদের সঙ্গে থাকেন, এরকম গাল ভরা প্রতিশ্রুতি এবং বড় বড় বক্তব্য তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষদের আখেরে উন্নতি যে এই সরকারের আমলে কিছুই হয়নি, পাল্টা সেই দাবি করে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের তহবিলে যে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই অর্থের বিষয় নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “কেন্দ্রের টাকা রাজ্য সরকারের তহবিলের সরাসরি পাঠানো হয়। সেই টাকা কোথায় গেল, কি হলো, তার কোনো হদিশ নেই। দার্জিলিং জেলা শাসকের কার্যালয়ে এই দুর্গতদের ব্যাংক সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। অনুদান পাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক বার্তা পাইনি।” অর্থাৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাঠানো হয়েছে, তাতে দুর্গত মানুষদের কাছে সেই অর্থ গিয়েছে কিনা, তা নিয়েও সন্ধিহান এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এক্ষেত্রে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ আবার নয়ছয় করা হচ্ছে না তো, ঘুরিয়ে সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।