প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট- এই রাজ্য বোমা ও বারুদের ওপর বসে রয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাও সামনে আসে। আর এবার সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সেই পুলিশরাই নিজেদের জীবন নিয়ে পড়ে গেলেন ভয়ংকর বিপদের মুখে। যেখানে ভর সন্ধ্যায় ডায়মন্ড হারবার থানার কাছে মজুত করা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে উঠলো এলাকা।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত আটটার সময় ডায়মন্ডহারবার থানার বাইরে কিছু বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। আর সেই বিস্ফোরক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও বা পরবর্তীতে দমকল এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে এনেছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে থানার কোনো ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তবে যেভাবে রাজ্যে একের পর এক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটছে, তাতে তো পুলিশের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। কিন্তু একেবারে থানার বাইরে মজুত করা বিস্ফোরক থেকে যেভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো, তাতে পুলিশ যেভাবে নিজেরাই আতঙ্কে রয়েছে, তাতে এই রাজ্যের যে ভয়ংকর অবস্থা, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে সকলের কাছে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিস্ফোরণের ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি লেখেন, “ডায়মন্ড হারবার থানা বিস্ফোরনে ভস্মীভূত। জানা যাচ্ছে, আটক করা বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। অবৈধ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখার জন্য দাবি জানাচ্ছি।” অন্যদিকে গোটা বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “ডায়মন্ডহারবার থানার উন্নয়নের বিস্ফোরণ হয়েছে। আমি আগেই বলেছি, এই রাজ্যে প্রতি দু মাস অন্তর বিস্ফোরণ হবে।”
তবে বিরোধীরা এই সমস্ত কথা বললেও, বিশেষজ্ঞরা কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। তারা বলছেন, পুলিশের তো সাধারন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। গোটা রাজ্যে যে বোমা, বারুদের আতুড়ঘর তৈরি হয়েছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুলিশরা যদি নিজেরাই নিরাপদ না থাকে এবং ভাইপোর নিজের এলাকা অর্থাৎ ডায়মন্ডহারবার তার লোকসভা কেন্দ্র, সেখানে ডায়মন্ডহারবার থানার বাইরেই যদি এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের মত ঘটনা ঘটে, তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষ কেন, পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা বলতেই কিছু নেই। তাই এবার সময় এসেছে বদলে দেওয়ার। ফলে পুলিশ প্রশাসনকে যারা সঠিকভাবে মানুষের জন্য কাজে লাগাতে পারবে, যারা রাজ্যকে সুরক্ষিত করতে পারবে, তাদেরকেই ক্ষমতায় আনা উচিত সাধারণ মানুষের বলেই রাজ্যবাসীকে আরও বেশি করে ভাববার আহ্বান জানাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।