প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি যখনই কোনো কর্মসূচি করে, তখনই পুলিশ দিয়ে তাদের বাধাদান করার একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের কাছে। একাধিকবার এই রাজ্যের বুকে বিরোধী দলনেতাকে কর্মসূচি করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তিনি যখনই কোনো কর্মসূচির ডাক দেন, তখনই যে তাকে আটকানোর জন্য পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দেবে না, তা খুব ভালো করেই জানেন শুভেন্দুবাবু। তাই তিনি তৈরি থাকেন পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য। যখনই প্রশাসন অনুমতি দেয় না, তখনই আদালতে গিয়ে সেই অনুমতি নিয়ে আসেন তিনি অথবা তার দল বিজেপি। আগামী মঙ্গলবার পানিহাটিতে একটি কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেই কর্মসূচিতেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার পানিহাটিতে একটি কর্মসূচি করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অন্যান্য কর্মসূচিতেও যেমন পুলিশ অনুমতি দেয় না, এক্ষেত্রেও কি হয়, পুলিশ প্রশাসন আদৌ অনুমতি দেয় কিনা, তার দিকে নজর ছিল বিজেপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেল যে, এখানেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনিও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন, তা আজ সাংবাদিক বৈঠকেই স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশ এই কর্মসূচিতে অনুমতি না দিলেও জেলা বিজেপির সভাপতি এই কর্মসূচির অনুমতি আনতে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হবেন বলেই জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমার যে কর্মসূচি, স্বাভাবিক ভাবেই বাতিল করেছে ভাইপোর নির্দেশে। আমাদের জেলা সভাপতি আগামীকাল কোর্টে যাচ্ছেন। আমরা হাইকোর্ট করে কাকদ্বীপে আদায় করেছি। আগামীকাল কাকদ্বীপে কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না আদর্শ আচরণবিধি চালু হচ্ছে, ততক্ষণ বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতার কর্মসূচির অনুমতি এরা দেবে না, আমরা জানি। আমার ইতিমধ্যেই ৯০ পেরিয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি চালু পর্যন্ত এই সংখ্যাটা আরও ২০-৩০ পর্যন্ত যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছি।”