প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ দপ্তর সহ একাধিক দপ্তর নিজের হাতে রেখেছেন। সবকিছু তিনিই নিজে দেখভাল করছেন। আসলে নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে সর্বনাশ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তা বাংলার ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক দিন ডেকে আনছে বলে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ করে বিরোধীরা। তারা বলার চেষ্টা করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যখন পুলিশ দপ্তর ভালোমতো সামলাতে পারছেন না, যখন পুলিশ ঠিকমত কাজ করছে না, তখন তিনি কেন সেই দপ্তর অন্য কারও হাতে দিচ্ছেন না? একজন মানুষ যদি সমস্ত দপ্তর নিয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্যদের কাজ কি থাকবে একটা মন্ত্রিসভায়? গতকাল উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, পুলিশকে এত ভীতু হলে চলে না। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই তাহলে যে পুলিশ ঠিকমত কাজ করছে না, তিনি পুলিশ মন্ত্রী থাকাকালীন যে পুলিশের ব্যর্থতা সামনে আসছে, তা তো স্পষ্ট হয়ে গেল। সেই বিষয়টি তুলে ধরে ভোটের আগে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ দপ্তর ছেড়ে দিন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে বিভিন্ন ইস্যুকে তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। বারবার করে তারা বলার চেষ্টা করছে যে, এই রাজ্যে পুলিশের মেরুদন্ড অনেকদিন আগেই ভেঙে গিয়েছে। পুলিশ এখন দলদাস হয়ে কাজ করছে। পুলিশের নিরপেক্ষতা বলতে কিছু নেই। আর গতকাল উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে যে কথা বলেছেন, তারপর বিরোধীরা আরও বেশি সুযোগ পেয়ে গিয়েছে, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন যে ঠিকমতো কাজ করছে না, সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার যে কথা বলেছেন, সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “তার মানে ওনার পুলিশ কাজ করছে না। এ তো অনেক আগেই হুমায়ুন কবীরই বলেছিলো যে, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ দপ্তর ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং অভিষেক ব্যানার্জিকে দিয়ে দেওয়া উচিত। এখনও আদর্শ আচরণবিধি চালু হতে ২ মাস বাকি আছে। তাহলে এই দুই মাস উনি ছেড়ে দিন, পুলিশ যখন কথা শুনছে না। উনি সবসময় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান। উনি ভোটের সময় বলেন, ২৯৪ টা কেন্দ্রে আমি প্রার্থী। আবার যখন পার্থ চুরি করে জেলে যায়, তখন উনি বলেন, পার্থ এসব করেছে, আমি জানতাম না।”