প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ বনগাঁয় এসআইআরের বিরুদ্ধে সভা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভা এবং পদযাত্রা শেষ করে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু ফেরার পথেই তাকে যে এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে, তা তিনিও হয়ত ভাবতে পারেননি। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন যে, এই রাজ্যের সব জায়গাতেই তো পচন ধরেছে। আরও একবার চোখের সামনে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। আর এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ আটকে রাখতে পারলেন না জনতা। যে ঘটনা আজকে বারাসাত মেডিকেল কলেজে ঘটে গেল, তা শুধু মারাত্মক নয়, অত্যন্ত ভয়াবহ এবং চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।
জানা গিয়েছে, আজ বারাসাত মেডিকেল কলেজের মর্গে এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু মর্গে তার চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বারাসাত মেডিকেল কলেজে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদে যশোর রোডে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেয় উত্তেজিত জনতা। আর সেই সময় বনগাঁর সভার শেষ করে সেই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। আর মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে নিজেদের প্রতিবাদ এবং অভিযোগ জানাতে শুরু করেন প্রতিবাদীরা। আর তখনই গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের আশ্বাস দিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে যে কারোরই নিরাপত্তা নেই, এমনকি মৃত মানুষেরও যে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা তো আজ দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গেল। এই রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার আরও একটা নির্লজ্জ রূপ আজকে চোখের সামনে তো দেখতে পেলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! হাসপাতালের মর্গে একজন মৃত যুবকের চোখ কি করে কেউ বা কারা খুবলে নিলো? এত বড় জঘন্য ঘটনা এই রাজ্যের বুকে ঘটছে কেন? তবে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে যখন এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলো, এরপরেও যদি যে কটা দিন তিনি বা তার সরকার ক্ষমতায় আছেন, সেই কটা দিন অন্তত পরিষেবাকে ভালো করতে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, এই রাজ্যের বুকে যে যে ঘটনা ঘটছে, তার সবটাই এই ব্যর্থ সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্যই ঘটছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।