প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ভেবেছিল যে, সংখ্যালঘুরা তাদের একমাত্র শক্তিশালী ভোটব্যাংক। বিজেপি যতই হিন্দুদের একত্রিত করার চেষ্টা করুক, কিছু ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে তারা হিন্দু ভোট পেয়ে যাবে। আর সংখ্যালঘুদের সব ভোট তাদের পক্ষে আসবে। আর এই করে তারা ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই সংখ্যালঘু ভোটে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। আর এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সব থেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময় যে ত্বহা সিদ্দিকী তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন, এখন তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার মন্তব্য রীতিমত ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূল সমস্ত সংখ্যালঘুদের ভোট যে পাবে না, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে ত্বহা সিদ্দিকী যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন, ঠিক তখনই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের এক বিধায়কের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছিল ত্বহা সিদ্দিকীকে। একসময় তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমাগত কি শাসক দলের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন ত্বহা সিদ্দিকী? যেখানে আসন্ন নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রচার করবেন, এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে তার গলায়। পাশাপাশি শওকত মোল্লার বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকী। আর সেই বিষয় নিয়েই বলতে গিয়ে তৃণমূলের কোন্দল সামনে নিয়ে এলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ত্বহা সিদ্দিকীর বিদ্রোহ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দেখুন, পরিবারের মধ্যে পয়সাকড়ি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে মনে হয়। কাসেম সিদ্দিকী তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে গিয়েছে। ও বেশি পয়সা পাচ্ছে। কিন্তু কাকা পাচ্ছে না। চাচা-ভাতিজা লড়াই করছে। করতে দিন।”