প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা বিধানসভার মত যে পৌরসভা ভোট হয় না, তা এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পৌরসভায় কারচুপি করে, অনেক ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং লোকসভাতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে তৃণমূল হয়তো জিতে গিয়েছে। কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোট যে অন্য রকম হবে, তা বুঝেই আতঙ্কে ক্রমশ মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। তাই এবার দায়িত্ব পাওয়ার পর বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি গলায় শোনা গেল বড় সংশয়ের সুর।

বলা বাহুল্য, বাঁকুড়া জেলায় ১২টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জেলার মূল সদর বাঁকুড়া বিধানসভাতে ২০১৬ সালের মত ২০২১ এর বিধানসভা ভোটেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে ২০২১ সালে এই আসন দখল করেছে বিজেপি। তাই এবার যাতে সেই আসন তৃণমূলের দখলে থাকে, তার জন্য নেতা কর্মীদের বার্তা দিচ্ছেন নবনির্বাচিত তৃণমূলের সভাপতি।

এদিন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায় বলেন, “বাঁকুড়া জেলার মাথা বাঁকুড়া সদর। এখানেই সমস্ত দপ্তরের জেলা কার্যালয়। বিভিন্ন ব্লক থেকে এই সদর শহরে মানুষ আসেন। অথচ এই সদর আসনটাই আমাদের হাতে নেই। এটা আমাদের কাছে লজ্জার। তাই সেই আসন আমাদের পক্ষে ফেরানো ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্যতম লক্ষ্য।” তবে তৃণমূলের সভাপতি এত বড় বড় দাবি করলেও, তৃণমূল যেভাবে চুরি এবং দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, তাতে বাঁকুড়া জেলার প্রত্যেকটি আসনেই এবার বিজেপি জয়লাভ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুরি, দুর্নীতি থেকে শুরু করে আদালতে একের পর এক বিষয়ে ধাক্কায় রীতিমত নাজেহাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০১৬ এবং ২০২১ সাল এর থেকে অনেক ভালো ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কিন্তু তখনই তারা বাঁকুড়া সদর আসনটিতে জয়লাভ করতে পারেনি। সেদিক থেকে এবার ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে সব থেকে বেশি চাপের নির্বাচন হতে চলেছে।

তাই এবারে যে বাঁকুড়া জেলায় আরও শোচনীয় ফলাফল হবে, তা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সভাপতি। তাই নিজের চেয়ার বাঁচাতে অতীতের ফলাফলের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতে যাতে কিছুটা মুখ রক্ষার ফলাফল হয়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ভয় এবং আশঙ্কা থেকেই যে তার এই বার্তা, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনেও তৃণমূল যে গোহারা হাঁরতে চলেছে বাঁকুড়ায়, সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।