প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি ওয়াকফ নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। ঘোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করার পর এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো অমিত শাহের দপ্তরের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অমিত শাহের দপ্তর এমন এক পদক্ষেপ নিলো, যার ফলে আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশের আইন ভঙ্গ করে যারা অশান্তি সৃষ্টি করেছে, তাদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এনআইএর পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের জেরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে সাগরপাড়া থানার অধীনস্থ দুটি গ্রামের দুজন বাসিন্দাকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একজন হলেন খয়েরমাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান এবং অপরজন সাহেবনগরের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া।
এদিকে নোটিশ পাওয়ার পরেই রীতিমত ভয়ে কাপতে শুরু করেছেন ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত এই দুই ব্যক্তি। যেখানে হাবিবুর রহমান বলেন, “তাকে কি কারণে তলব করা হয়েছে, তিনি এর কিছুই জানেন না।” তবে তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে গোলাম কিবরিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এমনকি তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তার স্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যতই সুর নরম করুন, লাভের লাভ কিছুই হবে না। কারণ খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। যারা ভেবেছিলেন, ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন করে, মানুষের ওপর অত্যাচার করে পরিস্থিতিকে অশান্ত করে নিজেদের হাতে সমস্ত কিছু রাখবেন, তাদের জন্য এবার নেমে আসতে চলেছে ভয়ংকর বিপদ। স্বয়ং অমিত শাহের দপ্তরের অধীনস্ত এনআইএ যেভাবে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো, তাতে ভবিষ্যতে যে আরও অনেকেই এরকম নোটিশ পাবেন এবং যারা এই ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছেন, তাদেরকেও যে টাইট দেওয়া হবে, আর সবথেকে বেশি টাইট পেয়ে যাবেন ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে কথা বলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই ব্যাপারে সোচ্চার গেরুয়া শিবির।