প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল থেকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তবে এটা তৃনমূলেরই সাজানো কোনো ক্রিপ্ট নয় তো? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। ভোটের আগে তৃণমূল একদিকে বাবরি মসজিদ তৈরি করার কথা বলা হুমায়ুন কবীরকে দল থেকে বের করে দিয়ে তলায় তলায় তার সঙ্গে সেটিং করে দুই দিকেই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছে না তো? আর তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসার নাম করে হুমায়ুন কবীর বিরোধী ভোটকে কেটে নিয়ে তৃণমূলকেই সুবিধা করে দিতে চাইছে না তো? এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠছে। আর এসবের মধ্যেই হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন যে, বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের কর্মসূচি করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে যদি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়, নেবে। কিন্তু অধীর চৌধুরী ৩০ টা নাকি খুন করেছেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? আর সেই ব্যাপারেই এবার পাল্টা সেই হুমায়ুন কবীর এবং এতদিন তিনি যে দল করে এসেছেন, সেই দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
গতকাল থেকেই খবরে শিরোনামে উঠে এসেছেন হুমায়ুন কবীর। প্রথমে তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে তিনি নিজের জেদ বজায় রেখে তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে জানিয়ে দেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে যদি পদক্ষেপ হয়, তাহলে কেন অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে এতদিন পদক্ষেপ নেওয়া হলো না? এইরকম প্রশ্ন তুলে দেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে তৃণমূল যে দূরত্ব স্থাপন করেছে, যেভাবে তাকে সাসপেন্ড করেছে, এটা তাদের দুজনের মধ্যেই ভোটের আগে কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নয় তো, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই অধীর চৌধুরীকে নিয়ে হুমায়ুন কবীর যে মন্তব্য করেছেন, তার পাল্টা জবাব দিলেন অধীরবাবু।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেখানেই হুমায়ুন কবীর গতকাল তিনি নাকি ৩০ টা খুন করেছেন, এরকম যে মন্তব্য করেছেন, সেই বিষয়ে অধীরবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “বেশ করেছি। ৩০ টা কেন, ৩ হাজার খুন করেছি। তাহলে তোর মুখ্যমন্ত্রী কেন এখনও যাবজ্জীবন সাজা দিতে পারলো না? তোর পুরোনো দিদি এতদিনে যাবজ্জীবন সাজা দিলেই পারতো। ৩০ কেন, ৩০ হাজার করতে পারি।”