এবার কি বিধানসভায় আসতে চলেছেন মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়? বিশেষ খবর রাজ্য February 25, 2018 সদ্য প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক কস্তুরী দাস। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়ার মাঝেই উঠে গেল লাখ টাকার প্রশ্নটা, তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করতে উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাবেন কে? একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা ছড়ালেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মহেশতলার উপনির্বাচনে শাসকদলের টিকিট পেতে সবথেকে বেশি ‘হট ফেভারিট’ কস্তুরীদেবীর কন্যা তথা কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। প্রথমত, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে এবং গৃহিনী। তাঁর বাবা মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান, মা তো দু-দুবারের বিধায়ক ছিলেন, তাঁর স্বামীও দু-দুবারের কলকাতার মহানাগরিক, তথা বিধায়ক। এবার তো একেবারে রাজ্যের মন্ত্রী। দ্বিতীয়ত, রত্নাদেবী নিজে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয়। তৃতীয়ত যদি অতীতের ‘ট্রেন্ড’ লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আস্থা রেখেছেন ‘পরিবারতন্ত্রে’, তা সে মন্তেশ্বর হোক বা সবং, উলুবেড়িয়া হোক বা নোয়াপাড়া। আর তাই সবমিলিয়ে মহেশতলায় শাসকদলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সবদিক থেকেই এগিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ই। তবে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা হয় নি, সরকারি কোনো প্রতিক্রিয়াও এই নিয়ে শাসকদলের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। সবথেকে বড় কথা এইসব ক্ষেত্রে শেষকথা বলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, তাই তিনি যা ঠিক করবেন তাই হবে চূড়ান্ত। রত্নাদেবীর টিকিট পাওয়ার ব্যাপারটা এখনো শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চর্চামহলেই সীমাবদ্ধ আছে। আপনার মতামত জানান -