প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ মহাসমারোহে পালন হচ্ছে রথযাত্রা। বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা নিরাপদ নয় এবং তারা সুরক্ষিত নয় বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করছে বিরোধীরা। মহেশতলা থেকে শুরু করে মালদহ, মুর্শিদাবাদের ঘটনা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দীঘাতে রথ যাত্রার সূচনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি “রাজনীতির রথে চেপেছেন” বলে খোঁচা দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এই পরিস্থিতিতে যারা বিধর্মী, যারা অন্য ধর্মের মানুষ, যাদেরকে তোষন করে সব সময় ভোটে জেতার চেষ্টা করে এই রাজ্যের সরকার, তারা যদি হিন্দু ধর্মের পবিত্র এই রথযাত্রায় আসে, তাহলে তা যে কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না, তা জানিয়ে দিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্য ঘিরেই রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই জালালপুর এবং উলুবেড়িয়ায় হিন্দুরা কম থাকলেও যাতে সেখানে তারা রথযাত্রা পালন করেন, তার জন্য তাদের কাছে আবেদন জানান শুভেন্দুবাবু। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রথের মেলায় দড়ি টানার ক্ষেত্রে হিন্দু বাদে বাকিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। যদি কেউ তা করে, তবে মেলার পবিত্রতা অনেকাংশই ক্ষুন্ন হবে। জগন্নাথ দেবও তা মেনে নেবেন না।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দেন, যদি সেখানে রথযাত্রা পালন করতে কোনো রকম বাধা আসে এবং পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে, তবে সেই পরিবারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে সাম্প্রদায়িক বলে তৃণমূল নানা খোঁচা দিতেই পারে। কিন্তু একাংশ বলছেন যে, এই রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে এবং তাদেরকে সুরক্ষিত ভোটব্যাংক ভাবতে গিয়ে হিন্দুদের প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে এই রাজ্যের সরকার। সেক্ষেত্রে হিন্দুদের রক্ষা তাদের নিজেকেই করতে হবে। তাই সনাতনীদের হৃদয় সম্রাট হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী প্রকৃত কথাই বলেছেন। এই রাজ্যে মুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে তো কেউ বাধাদান করতে আসে না। বরঞ্চ সেখানে যদি হিন্দুদের কোনো অনুষ্ঠান থাকে, তাহলে তাকে কাটছাঁট করে মুসলমানরা কি করে সুরক্ষিতভাবে অনুষ্ঠান করবে, তার জন্য বেশি চেষ্টা করে এই রাজ্যের পুলিশ বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হিন্দুদের পবিত্র রথযাত্রায় যাতে সেই অন্য সম্প্রদায়ের কোনো মানুষ সেখানে না যায়, তা জানিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” স্লোগান দেন, তাকেই খন্ডন করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের সুরক্ষিত করতে এবং হিন্দু সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে শুভেন্দুবাবু যে বার্তা দিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে গোটা রাজ্যের হিন্দু সনাতনীরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।