প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে আজ থেকেই কি বড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছে নবান্ন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে কি সবথেকে বড় বিপদ ধেয়ে আসতে চলেছে আজকের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর থেকেই? কিন্তু কেন এই কথা বলা হচ্ছে! কারণ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার সময়সীমা আজ অর্থাৎ ২৭ জুন শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তাই রাজ্য যদি এই ব্যাপারে এখনও কোনো পদক্ষেপ না নেয় এবং আদালতের নির্দেশ মেনে কোনোরূপ নির্দেশিকা জারি না করে, তাহলে ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠতে পারে। আর সেই অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম কোর্টে আবার বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বলা বাহুল্য, আজ রথ উপলক্ষে এমনিতেই সরকারি ছুটি রয়েছে। কিন্তু আজকেই সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএর যে ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট, তার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্য এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা জারি না করায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা আজকের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই রাজ্যকে চাপে রেখে আরও বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন বলেই মনে করছেন একাংশ। আর সরকারি কর্মচারীরা যদি রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মত অভিযোগ তুলে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার যে ধাক্কাটা এবার খাবে, তাতে তারা আর ঘুরে দাঁড়ানোর মত জায়গা খুঁজে পাবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
অনেকে বলছেন, রাজ্য সরকার যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও এখনও পর্যন্ত ডেডলাইন শেষ হয়ে যাওয়ার দিনেও কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি, তখন বুঝে নিতে হবে যে, রাজ্য এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যা সুপ্রিম কোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তা হয়ত দেবে না। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার হয়তো বিকল্প কোনো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা হয়ত আবার আদালতে গিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আবেদন করতে পারে। তবে সরকারি কর্মচারীরা কিন্তু কোনোমতেই রাজ্য সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে নয়। আজকের ডেডলাইন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই রাজ্য যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদিন এই ব্যাপারে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুক্রবার পর্যন্ত বকেয়া ডিএ মেটানোর সময় আছে. যদিও সেদিন রথের কারণে সরকারি ছুটি থাকবে। তাও সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো না হলে রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্য সচিবের নামে নোটিশ করা হবে। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিনের সময় দেওয়া হবে। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কাছে সময় আছে। তাই আজকের দিনেও যদি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে অত্যন্ত ভালো কথা। কিন্তু তারপরেও যদি তারা পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বড়সড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
