প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নবান্ন অভিযান রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে অতীতেও এই রাজ্যে নবান্ন অভিযান হয়েছে। আর সেই নবান্ন অভিযানে পুলিশ যেভাবে বাধা দিয়েছে, তা চোখে পড়ার মত। এবারও যে পুলিশের অতি সক্রিয়তা সামনে আসছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলন কারীদের মুখোমুখি হওয়ার বিন্দুমাত্র সাহস নেই। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। কর্মব্যস্ততার দিনে নবান্ন অভিযানকে আটকাতে যেভাবে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাস্তাগুলোতে, তাতে প্রশাসনের জন্যই এদিন বাড়তি যানজট হবে এবং তারা যদি এই নবান্ন অভিযানকে খুব স্বাভাবিক ভাবে নিত, তাহলে এইভাবে রাস্তা আটকানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, এদিন নবান্ন অভিযানকে আটকানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, পুলিশ যেন যুদ্ধ মোকাবিলা করতে নেমেছে। যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নবান্ন অভিযান করছেন, তাদেরকে খাটো করার জন্য পুলিশের এই ব্যারিকেড নিয়ে এসে রাস্তায় আটকে দেওয়ার প্রচেষ্টা বলেই দাবি করা হচ্ছে। কেননা যারা আন্দোলন করছেন, তারা তো কোনো সন্ত্রাসবাদী নন। তারা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে পথে নেমেছেন! সেখানে পুলিশের এইভাবে ব্যারিকেড দেওয়ার অর্থ কি?

জানা গিয়েছে, পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তিনটি মজবুত ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। প্রথম ব্যারিকেড হাওড়া রেল মিউজিয়ামের সংলগ্ন যে নাগাবাবা আশ্রম রয়েছে, সেখানে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। আর সেই আশ্রম থেকে কিছুটা দূরে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ ফুটের ব্যারিকেড। আর আরও একটি ১০ ফুটের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে ফোরশোর রোডে। কোনোভাবেই যাতে নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে আসা আন্দোলনকারীরা নবান্নের অভিমুখে যেতে না পারে, তার জন্যই এত রকমের প্রস্তুতি পুলিশের। তবে কেন সামান্য নবান্ন অভিযানে এত ভয় প্রশাসনের? এখন সেই প্রশ্নই সব থেকে বেশি উঠতে শুরু করেছে রাজ্যবাসীর মধ্যে।