প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন, যারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জন্য কথা বলবেন, তাদেরকেই পুলিশ অনুমতি দেয় না। এক কথায় পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে বলেই বারবার করে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এমনকি এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে যে কোনো জায়গায় মিটিং মিছিল করতে গেলেই বাধা দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বারবার করে যেতে হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে এসেই তাকে সেই কর্মসূচি করতে হয়। কিন্তু আদালত বারবার করে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়ার পরেও এই পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার প্রবণতা কিন্তু কমছে না কিছুতেই। এবার ফের উত্তরবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো প্রশাসন।

বলা বাহুল্য, আগামী ৪ আগস্ট কোচবিহারে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি জমায়েতের কর্মসূচি ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। যেখানে উত্তরকন্যায় ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই কর্মসূচির আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাতে না জানিয়ে দেওয়া হলো। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কর্মসূচির জন্য। সেই কারণে তাতে অনুমতি দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের এই খেলো খেলো যুক্তি নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি।

বিজেপির প্রশ্ন, তৃণমূল বা এই রাজ্যের প্রশাসন তো মনে করে, রাজ্যের বিরোধী দল বলে কিছু নেই। তাহলে সেই বিরোধী দল বিজেপি সামান্য আন্দোলন করবে, তাতে প্রশাসনের এত ভয় কিসের? আর এই রাজ্যের প্রশাসন তো সমস্ত কিছু দমন করতে ওস্তাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বারবার করে দাবি করেন, তার পুলিশ হচ্ছে সবথেকে সেরা। তাহলে যে বিজেপির রাজ্যে কিছু নেই, সেই বিজেপি আন্দোলন করছে মানুষের দাবি নিয়ে, আর সেখানে অশান্তি হবে কেন? আর যদিও বা অশান্তির আশঙ্কা থাকে, তাহলে প্রশাসন তাকে দমন করতে পারবে নাই বা কেন? তাহলে কি প্রশাসন অপদার্থ? শুধুমাত্র তৃণমূলের দলদাস হয়ে থাকাই কি তাদের একমাত্র কাজ? সেই কারণে আবারও বিরোধীদের এই কর্মসূচি বন্ধ করে নিজেদের অপদার্থ বলে পরিচয় দিচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এবার শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই কর্মসূচির অনুমতি নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।