প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের বিন্দুমাত্র মূল্য নেই, এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেও যে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে ঘুরতে হয়, তা এতদিন শুধুমাত্র বিজেপির পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার হাতে নাতে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠলো যে, এই রাজ্যের শাসক দল কতটা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠেছে। যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আদালতের অনুমতি নিয়ে কোচবিহারে গিয়েছেন, সেখানে তার কনভয়ে যেভাবে হামলা করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ তথা রাজ্য রাজনীতি।
কি ঘটনা ঘটেছে? এদিন শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে আসার পর থেকেই তৃণমূলের গাত্রদাহ শুরু হয়। বিভিন্নভাবে তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া থেকে শুরু করে কালো পতাকা দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুই গা সওয়া হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তাই তিনি তৃণমূলের এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে ঘটনা ঘটানো হলো, তাতে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যেখানে খাগড়াবাড়ি মোড়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এনআরসির বিরোধিতায় একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আর সেখানে যখন শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আসে, তখন তৃণমূলের মঞ্চ থেকে বেশ কিছু জন এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গাড়িতে হামলা করে। এমনকি গাড়ির কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই সকলের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে যে, কেমন আছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? যেভাবে তাঁর গাড়িতে হামলা হয়েছে, তাতে তিনি আক্রান্ত হননি তো? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী নিজে এবং কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ছিলেন। তবে তারা বর্তমানে নিরাপদ রয়েছেন। কিন্তু আদালতের অনুমতি নিয়ে যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কোচবিহারে এসেছেন, তখন তার সঙ্গে যে অসভ্যতা করা হলো, যেভাবে তার কনভয়ে হামলা চালানো হলো, তাতে যারা হামলা চালালো, তাদের এবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে তো? কেন বারবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এইভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিরোধী দল এবং বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করবে? কেন রাজ্যের প্রশাসন সেই সমস্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে না? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।