প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গত ৪ তারিখ ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে ব্যান করার পরেই তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। গতকাল নেপালের যুবসমাজ তাদের প্রতিবাদ জানান। যেখানে সংসদ ভবনেও প্রবেশ করেন তারা। আর এই যুব সমাজের প্রতিবাদ এবং ক্ষোভকে সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে নেপালের প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, তা এখনো পর্যন্ত থামার লক্ষণ নেই। তাই বাধ্য হয়েই এবার নেপাল সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন।
বলা বাহুল্য, গতকাল থেকেই নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর সামনে আসে। যেখানে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করা থেকে শুরু করে তারা সংসদ ভবনের প্রবেশ করে নিজেদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। যেখানে আহত হন প্রচুর বিক্ষোভকারী। এমনকি বেশ কিছু জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে পরিস্থিতি কোনোমতেই আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না উপলব্ধি করে এবার নেপাল সরকারের একের পর এক নেত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন।
জানা গিয়েছে, যুব সমাজের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তার কিছু সময় পরেই খবর পাওয়া যায় যে, নেপালের কৃষিমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। আর এবার পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠছে দেখে নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নেপালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে যে জনরোষ সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তাতে রীতিমত কাঁপতে শুরু করেছে সরকার পক্ষ। আর তাই বাধ্য হয়েই একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।