প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে যেন হিন্দুদের ওপর আরও ক্রমশ আক্রমণ বেশি করে নামতে দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গায় বেছে বেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, সেখানে হামলা চালানো থেকে শুরু করে দোকানপাট ভাঙচুরের খবর মাঝেমধ্যেই আসছিল। এমনকি হিন্দুদের যে সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলো রয়েছে, সেখানে জেহাদিদের আক্রমণের খবর প্রকাশ হচ্ছিল সংবাদমাধ্যমে। সামনেই দুর্গাপুজো। এমনিতেই বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তবুও তারা নিজের ধর্মের প্রতি আস্থা রেখে সেখানে নিজেদের মত করে শারদ উৎসব পালন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার সেখানেও আঘাত হানলো জেহাদিদের দল। দুর্গাপুজোর আগেই ভেঙে দেওয়া হল দুর্গা প্রতিমার মূর্তি। যে ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমত ওপার বাংলার হিন্দুরা তো বটেই, এপার বাংলায় যে সমস্ত হিন্দুরা রয়েছেন, তারাও চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন।
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই শারদ উৎসব শুরু হয়ে যাবে। বাংলা ও বাঙালির সবথেকে প্রিয় উৎসব, হিন্দু ধর্মের কাছে সবথেকে পবিত্রতম অধ্যায় এই দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই এপার বাংলায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রীতিমত সাজো সাজো রব। তবে প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশে থাকা হিন্দুরা। এমনিতেই তাদের প্রত্যেকটি আচার অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জেহাদীরা তাদের সনাতনী সংস্কৃতিতে প্রতিমুহূর্তে বাধা দান করে বলে অভিযোগ। আর এবার দুর্গা পুজোর আগে বাংলাদেশের কাশিমপুরে রীতিমত প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে যেখানে দুর্গা প্রতিমার মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এদিকে বাংলাদেশের কাশিমপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙার খবর সামনে আসার পর থেকেই সেখানকার হিন্দুরা রীতিমত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। পুজোর আগেই যদি এইভাবে মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে যদি তারা পুজো করেন, তখন যদি তাদের সনাতনের সংস্কৃতিকে অমান্য করে জেহাদিরা আরও বড় হামলা চালায়, তখন কি হবে! তা নিয়ে তারা রীতিমত আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে যদি বাংলাদেশের পরিবেশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে, এভাবে যদি কিছু শ্রেণীর মানুষ ওপারে থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠানে বাধা দেয়, তাহলে প্রশাসন কি করছে! তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর বাংলাদেশি হিন্দুদের এই দৈনদশা দেখে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন এপারে হিন্দুরা। তবে যে ইউনুস প্রশাসন বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে, তারা কেন সেখানে সর্বধর্ম স্থাপন করতে সেখানে হিন্দুদের সবথেকে পবিত্রতম আচার অনুষ্ঠান পালন করতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না? কেন জেহাদিদের শাস্তি দিতে পারছে না, যারা এই মূর্তি ভাঙচুর করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।