প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি ফের রাজ্য শুরু হয়ে গেল খুনের রাজনীতি? ২০২১ এর ভোট পরবর্তী হিংসায় যেভাবে একের পর এক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর সহ তাদের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছিল, এবার কি 26 এর বিধানসভা ভোটের আগেই সেই প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বুকে? কেননা নবদ্বীপে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। যেখানে বিশ্বকর্মা পূজোর দিন বাড়ির সামনে জটলা দেখে তিনি সেখানে যান। যে সমস্ত যুবকরা সেখানে ছিলেন, তাদেরকে তিনি চলে যেতে বলেন। পরবর্তীতে রাতে সেই বিজেপি কর্মীর সঞ্জয় ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় সেই সমস্ত যুবকরা। এমনকি তার মায়ের সামনেই তাকে ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই বিজেপি কর্মীর মাথাতেও আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবশেষে মৃত্যু হয় সঞ্জয় ঘোষ নামে সেই বিজেপি কর্মীর।

আর এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পরিবারের অভিযোগ, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের মধ্যে একজন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। সঞ্জয় ঘোষ নামে ওই বিজেপি কর্মী, যারা বাড়ির সামনে জটলা করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে টাকা পেতেন। তিনি সেই টাকা চাইতে গিয়েছিলেন। তারপর সেই যুবকদের তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা উল্টে তার বাড়িতে এসে তার ওপর হামলা চালায় এবং তার ফলেই সেই সঞ্জয় ঘোষের মৃত্যু হয়েছে।

আর নবদ্বীপে একজন বিজেপি কর্মীকে এইভাবে মেরে ফেলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, ভোটের আগেই যদি এই প্রবণতা শুরু হয়, তাহলে ভোট যতই এগিয়ে আসবে, তাহলে তো আরও হিংসাত্মক হয়ে উঠবে পরিস্থিতি! এভাবেই যদি লাশের রাজনীতি চলে বাংলার বুকে, তাহলে কিভাবে হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন? তাই নবদ্বীপের এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই বলছেন যে, এই রাজ্যে যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হয়, তাহলে পুলিশ নয়, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণরূপে ভরসা রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব না নেয়, তাহলে রাজ্যের পরিস্থিতি কোনোমতেই ঠিক হবে না এবং পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অসম্ভব বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের‌।