প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে শুরু হলো বিচার প্রক্রিয়া। যেখানে সাক্ষ্য দান করেছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডল। যে প্রক্রিয়ায় তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছেন বলে খবর আসছে। জানা যাচ্ছে যে, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা বর্তমানে অসুস্থ থাকা মুকুল রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এই দুইজন নাকি এই দুর্নীতি করতে চাপ দিতেন বলে তিনি যে সাক্ষ্যদান করেছেন, তা নিয়ে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মুকুল রায়ই কি জড়িত? এর পেছনে কি বড় কোনো মাথা নেই? আর সেই ব্যাপারেই এবার এসএসসির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষ্যদানের বক্তব্যের বিষয়টিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল দলকে রীতিমতো চেপে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন এসএসসি চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আর তারপরেই একাধিক বিস্ফোরক দাবি সামনে আসে। যেখানে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। আর সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই দুই ব্যক্তি বাদেও গোটা তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অর্থাৎ এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকেই আক্রমণ করে বসলেন।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। মুকুল রায় এই মুহূর্তে অসুস্থ, বাকরুদ্ধ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। কিন্তু গোটা দল যদি আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মুকুল রায় থেকে নিজেদের বিচ্যুত করে নেয় বা সেরকম কোনো বিবৃতি দেয়, আমার মনে হয় সেটা ঠিক হবে না এবং সেটা সম্ভবও নয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি মানুষ জানেন, এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। ববি হাকিম তো বিবৃতি দিয়েছিলেন, যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, যদি কোনো বিচ্যুতি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা পার্থদার একার দায়িত্ব নয়। অর্থাৎ যেটা হয়েছিল, সেটা যৌথ দায়িত্বে হয়েছিল এবং আজকে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বক্তব্যে সেটাই উঠে এসেছে।”