প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে উত্তরবঙ্গ বর্তমানে বন্যা বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত, যে উত্তরবঙ্গের মানুষরা রীতিমত হাহাকার করছেন, পর্যটন ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সেই উত্তরবঙ্গে প্রশাসন কি কাজ করছে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীদের মধ্যে। এমনকি বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ দিতে গিয়ে আক্রান্ত পর্যন্ত হয়েছেন। তাদের রক্ত ঝরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাতেও রাজ্যের শাসকদলের দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল দলের নেতারা মাঝেমধ্যেই আরএসএসকে নিয়ে কটাক্ষ করেন, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন, সেই আরএসএস কিন্তু পৌঁছে গেল বিপদের দিনে মানুষের পাশে। তারা আবার প্রমাণ করে দিলো যে, তারা প্রকৃত অর্থেই সমাজ গঠনের কাজে বড় ভূমিকা পালন করে।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে মানুষের মধ্যে হাহাকার তৈরি হয়েছে। অনেক মানুষ ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অনেকের অভাব, অভিযোগ রয়েছে। আর তার মধ্যেই আজ উত্তরবঙ্গে সেই বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছে গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। যেখানে আরএসএসের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিল করা হলো। এমনকি যে সমস্ত মানুষরা আটকে রয়েছেন, তাদের উদ্ধার কার্যেও সামিল হতে দেখা গেল আরএসএসের কার্যকর্তাদের।
জানা গিয়েছে, আজ বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। যেখানে নাগরাকাটা থেকে শুরু করে মিরিক, বিজনবাড়িতে শুরু হয়েছে ত্রাণ বিলির কাজ। মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে, তা তুলে দিচ্ছেন আরএসএসের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয়, ত্রাণ বিলি করার পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ আটকে রয়েছেন, তাদের উদ্ধারকার্যেও সহযোগিতা করছেন তারা। অর্থাৎ যেখানে বিপদ, সেখানেই যে আরএসএস পৌঁছে যায়, এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা যতই আরএসএসকে কটাক্ষ করুক না কেন, এদিনের এই চিত্র সামনে আসার পর আরএসএসের যে মানবিক রুপ, সমাজ গঠনে তাদের যে অগ্রণী ভূমিকা, তা আরও একবার সামনে চলে এলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ে থাকা মানুষরাও।