প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন এসআইআর ছাড়া কোনো মতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অন্তত বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে, খুব দ্রুত রাজ্যে এসআইআর হতে চলেছে। তবে একটা সমস্যার বিষয়ও অনেকে উল্লেখ করছেন। কেননা এই এসআইআরের চরম বিরোধিতা করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে যদি তারা এর বিরোধিতা করতে শুরু করে এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যদি এসআইআর করার প্রক্রিয়া দেরিতে শুরু হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি সেই প্রক্রিয়া শেষ না হয়, তাহলে নির্বাচন শুরু করতেও দেরি হবে। আর নির্বাচন সঠিক সময়ে শেষ না করলে মে মাসে যে ৫ তারিখে সরকার গঠন হয়েছিল, সেই সময় থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে রাষ্ট্রপতি শাসন। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর এবার সেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথাই তুলে ধরে তৃণমূলের আনন্দ কেড়ে নিলেন হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। বিরোধীরা দাবি করছে, এসআই আর না হলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে তৃণমূল আবার এর চরম বিরোধীতা করতে শুরু করেছে। ফলে এই দড়ি টানাটানির মধ্যে যদি সঠিক সময় এসআইআর না শুরু হয়, তাহলে কি নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বে শুরু হতে পারে? আর নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি বিলম্বে শুরু হয়, তাহলে কি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার গঠন না হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে? ইতিমধ্যেই এইরকম নানা প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভালোর জন্য অন্তত এসআইআরে বাধা না দিলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে না। সঠিক সময়েই হয়ে যাবে গোটা প্রক্রিয়া। কিন্তু তিনি যদি বাধা দিতে শুরু করেন, তাহলে জটিলতা বাড়বে এবং তৃণমূলেরই চাপ তৈরি হবে বলেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
এদিন এই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। যেখানে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে তৃণমূলকে হুশিয়ারি দেন তিনি। হেভিওয়েট এই বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এসআইআরে যেভাবে মমতা ব্যানার্জি বাধা দিচ্ছে, কোনো কারণে সেটা পিছিয়ে গেলে ৫ তারিখ থেকে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। ৫ তারিখ থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন। তখন এই তৃণমূলগুলো কোথায় যাবে?” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী সুরেই সুর মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ে এসআইআর শুরু না করলে যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে আর নির্বাচনী প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেলে যে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জারি হয়ে যাবে রাষ্ট্রপতি শাসন, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এই বিজেপি বিধায়ক। স্বাভাবিক ভাবেই এখন তৃণমূল এই এসআইআরের বিরোধিতা করবে নাকি এসআইআরকে স্বাগত জানাবে, তা নিয়ে তারা রীতিমতো দো-তরফায় পড়ে গিয়েছে বলেই কটাক্ষ করছে গেরুয়া শিবির।