প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন দলদাস হয়ে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বদলে শাসক দলের পক্ষে যাতে ভোট আসে, তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ কর্মীরা তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর রাজ্যে যখন বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, যখন দুর্গাপুর থেকে শুরু করে রাজগঞ্জে নারী নির্যাতনের ভয়ংকর ঘটনা সামনে আসছে, তখন সেই সমস্ত বিপদে মানুষের পাশে না থেকে পুলিশ প্রশাসনের যে রূপ সামনে এলো, তা রীতিমত নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিওর মধ্যে দিয়ে দেখিয়ে চমকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পষ্ট ভাষায় তিনি দাবি করলেন, রাজগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর, কোথাও এদের দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তৃণমূলের পতাকা ঠিক মতো লাগানো হয়েছে কিনা, তা হাত দিয়ে দেখে নিচ্ছেন পুলিশকর্তা। আর সেই ভিডিও এসপি থেকে শুরু করে আইপ্যাকের কাছে পাঠানো হবে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে আসার আগে যেভাবে তৃণমূলের পতাকা ঠিক মতো লাগানো হয়েছে কিনা তা দেখার কাজ করছে পুলিশ, সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর এবার সাংবাদিক বৈঠকেও তা নিয়ে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের পুলিশ কিভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, সেই সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেক গোপন তথ্য তিনি পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে দিয়েছেন। আর গতকাল সেই শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে আসছেন। তাই তাকে স্বাগত জানানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে পতাকা লাগানো হয়েছিল, রাত্রিবেলা সেই পতাকা ঠিকমতো রয়েছে কিনা, তা তদারকি করার কাজ করছেন একজন পুলিশ আধিকারিক। অর্থাৎ মানুষের বিপদে পুলিশ প্রশাসন না থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে তৃণমূল দলের রাজনৈতিক পতাকা যাতে ঠিকমত থাকে, তাতে নজরদারি করতেই ব্যস্ত দলদাস পুলিশ বলেই দাবি করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের মোবাইলে সেই ভিডিও দেখিয়ে আরও বড় দাবি করে বসলেন তিনি।
এদিন পশ্চিমবঙ্গে যে নারী নির্যাতন, সেই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সকালে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে তৃণমূলের পতাকা ঠিক করার জন্য পুলিশ যেভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল, সেই সংক্রান্ত ভিডিও পোস্ট করেন, তা নিয়েও মুখ খোলেন। নিজের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দেখুন, এদের রাজগঞ্জেও পাওয়া যায়নি, দুর্গাপুরেও পাওয়া যায়নি। তোমার দেখা নাই রে, তোমার দেখা নাই। তৃণমূলের পতাকা টেনে, ছবি তুলে ওসিকে পাঠাচ্ছে। ওসি এসপিকে পাঠাবে। আর এসপি আইপ্যাক আর রাজীব কুমারকে পাঠাবে।” অর্থাৎ রাজ্যে যেভাবে নারী নির্যাতন ঘটছে, সেই জায়গায় এই পুলিশ প্রশাসনকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তারা মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসছেন, তার আগে তৃণমূলের পতাকা ঠিক মতো লাগানো রয়েছে কিনা, তার তদারকি করতে সেই পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই এই প্রশাসন কতটা দলদাসের মত কাজ করতে পারে, কতটা তারা নির্লজ্জ হতে পারে, সেই সংক্রান্ত ভিডিও সংবাদমাধ্যমের সামনে দেখিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।