প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে অনেক মহান ব্যক্তিত্বরা বসেছিলেন। একসময় বিধান রায় থেকে শুরু করে অজয় মুখার্জির মত ব্যক্তিত্বদের পেয়েছে বাংলা। পরবর্তীকালে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মত মুখ্যমন্ত্রীও দেখেছে বাংলার মানুষ। কিন্তু কোনোকালেই কোনো মুখ্যমন্ত্রীর এত বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়নি, যা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় হচ্ছে। তিনি যে সমস্ত মন্তব্য করছেন, তা বাংলার গরিমাকে তো বটেই, বাংলার সংস্কৃতি এবং সৌজন্যবোধকেও রীতিমত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলেই দাবি করে বিরোধীরা। গতকাল এসআইআরের বিরুদ্ধে বনগাঁয় সভা করতে গিয়ে তিনি যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই সভার কয়েক ঘণ্টার মাথাতেই পাল্টা তাকে জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল বনগাঁর সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক মন্তব্য করেছেন। যেখানে তার মুখ থেকে শোনা গিয়েছে ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মত মন্তব্য। তিনি এটাও বলেছেন যে, “আমাকে আঘাত করলে অর্থাৎ মানুষকে আঘাত করলে আমি কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না। আমি কিন্তু ভারত হিলিয়ে দেব।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? তিনি তো রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু তিনি হিলিয়ে দেওয়ার মত শব্দ কি করে প্রয়োগ করছেন? এর অর্থ কি? তিনি কি এই মন্তব্য করে কাউকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন? একজন মুখ্যমন্ত্রীর কি এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায়? আর সেই বিষয়েই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে রেজিস্টার্ড জোকার বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরেই বীরভূমের সাঁইথিয়ায় পরিবর্তন সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক মন্তব্যের জবাব দেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “কি বলেছেন ওখানে? বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের পরে আপনি ভারত ভ্রমণ করবেন। ভারতকে হিলিয়ে দেবেন। এ কি ভাষা? আমরা বিধান রায়কে দেখেছি। অজয় মুখার্জিকে দেখেছি। জ্যোতিবাবুকে দেখেছি। বুদ্ধবাবুকেও দেখেছি। কিন্তু একি ভাষা? আপনি ভারতকে হিলিয়ে দেবেন! গুন্ডাদের মত ভাষা। আজকের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, আমি যেমন কল্যাণ, মদনকে বলি, রেজিস্টার্ড মাতাল, ঠিক তেমনই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে মনে হচ্ছে রেজিস্টার্ড জোকার।”