প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সত্যিই কি বাংলা এক ভুতুড়ে জায়গা হয়ে গিয়েছে? এই প্রশ্নটা উঠছে, কারণ এসআইআর আবহে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২০০০ এর বেশি জায়গা থেকে এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। যার ফলে ধরে নিতেই হবে যে, সেই সমস্ত জায়গায় প্রত্যেকেই ছিলেন কোনো ভুয়ো ভোটার, কোনো মৃত ভোটার, কোনো অবৈধ ভোটার ছিলেন না। তবে এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরেই বিরোধীরা বলছেন যে, এখানেই একটা বড় গল্প হয়ে গিয়েছে। কারণ এই পশ্চিমবঙ্গে তো প্রত্যেকটি ভোটে স্বর্গ থেকে অনেক মৃত মানুষ নেমে এসে ভোট দিয়ে চলে যান। তৃণমূল নিজেদের সুবিধে করার জন্য অনেক মৃত মানুষকে ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছে। আর তাই এসআইআর হওয়ার ফলে সেই সমস্ত নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই তারা এখন জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তবে ২ হাজারের বেশি যে সমস্ত বুথ থেকে কোনো ফর্ম ফেরত আসেনি, তার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ভাইপোর জেলা বলে পরিচিত দক্ষিণ 24 পরগনা অর্থাৎ তিনি এই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার অন্তর্গত যে এলাকা থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, সেই এলাকায় বারবার করে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে, ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে, আর এক্ষেত্রেও সেই এলাকা শীর্ষে থাকার কারণে বিরোধীদের সন্দেহ হতে শুরু করেছে যে, গোড়াতেই বড় গলদ রয়েছে। তারা নিশ্চিত যে, এই দু হাজারের বেশি বুথ থেকে যেখান থেকে কোনো ফর্ম ফেরত আসেনি, সেখানেই আসল গল্পটা করে রেখেছে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা প্রশাসনকে চাপে রেখে বিএলওদের দিয়ে একজনেরও নাম যাতে নাম বাদ না যায়, আর সেটা যদি মৃত ভোটার হয়, তাদের নামও যাতে রেখে দেওয়া যায়, তার গল্পটা এই সমস্ত বুথে হয়েছে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। আর সেই বিষয় নিয়েই বলতে গিয়ে রীতিমত কৌতুকের স্বরে তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

এই রাজ্যে এমনিতেই এসআইআর চলার কারণে তৃণমূল যে যথেষ্ট আতঙ্কিত, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে এতদিন ভোটার লিস্টে যে সমস্ত মৃত ব্যক্তি, অবৈধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ছিলেন, তাদের নাম বাদ যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রায় ২ হাজারের বেশি বুথ থেকে কোনো ফর্ম ফেরত আসেনি। অর্থাৎ এই সমস্ত জায়গায় কোনো ভোটার, কোনো মৃত ভোটার, কোনো অবৈধ ভোটার, কোনো বাংলাদেশী ভোটার নেই, এমনটাই ধরে নিতে হবে। তবে এটা মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এখানেই আসল কারচুপিটা হয়েছে। এত বুথ, প্রায় দু হাজারের বেশি, সেখানে একজনও মারা যায়নি? সেখানে একজন অবৈধ ভোটার নেই, এটা কোনোমতেই বিশ্বাস করা যায় না। আর সেই কথাই তুলে ধরে যদি কেউ সারা জীবন বেঁচে থাকতে চান, যদি কেউ স্বর্গবাসী হয়েও ভোটার লিস্টের মধ্যে দিয়ে বারবার করে স্বর্গ থেকে নেমে এসে ভোট দিতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে আসুন বলে যে ভুয়ো ভোটার তালিকা এসআইআর আবহে জেলা প্রশাসনকে দিয়ে তৈরি করানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, তা নিয়ে তাদের খোঁচা দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর আবহে একটি তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে যারা যাচ্ছে যে, প্রায় ২ হাজারের বেশি বুথে কোনো এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। অর্থাৎ এই সমস্ত জায়গায় এতদিন কেউ মারা যায়নি, কেউ অবৈধ ভোটার নয়, কেউ বাংলাদেশি নয়, এই তথ্য সামনে আসার পর এমনটাই ধরে নিতে হবে। আর সেই বিষয়কেই কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “আমি শুধু একটাই কথা বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি কেউ সারা জীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২ হাজারের ওপর বুথে কারও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবাংলা। অদ্ভুত এক ভুতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে, গেছো ভূত।”