প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার যে সব রকম চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস করছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে বেশ কিছু জায়গায় ঠিকমত কাজ চললেও বেশ কিছু গরমিল সামনে আসছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, রাজ্যের প্রায় ২২০৮ টি বুথে কোনো অবৈধ ভোটার নেই। সেখানে সমস্ত ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এতদিন এই সমস্ত জায়গায় একজন মারা যায়নি, কারওর বিয়ে হয়নি, কেউ অন্য কোনো জায়গায় স্থানান্তরিত হয়নি। এই তথ্য সামনে আসার পর এটাই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সত্যিই কি এটা বিশ্বাসযোগ্য? প্রায় দু হাজারের বেশি বুথে এতদিনে একটি মানুষেরও মৃত্যু হয়নি? এটা কি সত্যিই মেনে নেওয়া যায়? সর্ষের মধ্যে যে ভূত রয়েছে এবং কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাব বিস্তার করে ভুল তথ্য সিস্টেমে আপলোড করতে চাইছে, সেই দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করছে বিজেপি। আর এই তথ্য সামনে আসার পর সর্ষের মধ্যে যে কতটা ভূত রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ এর নির্বাচনে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে কমিশনের যে উদ্যোগ, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে বিজেপি। তবে প্রথম দিন থেকেই এসআইআরের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন সময়ে কমিশনের দরজায় গিয়ে তৃণমূল কিভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে এবং কিভাবে অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটারদের রেখে দিতে চাইছে, সেই সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে এসআইআরকে কিভাবে বানচাল করার চেষ্টা তৃণমূল এবং তাদের আইপ্যাক নামক পরামর্শদাতা করার চেষ্টা করছে, সেই তথ্য সামনে এনেছেন তিনি। আর তার মধ্যেই রাজ্যের ২২০৮ টি বুথ থেকে কোনো ফর্ম ফেরত না আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কি করে এটা সম্ভব? এতগুলো বুথে এতদিন কোনো মানুষের মৃত্যু হলো না? কোনো মেয়ের বিয়ে হলো না? অন্য কোনো জায়গায় স্থানান্তরিত হলো না কোনো ভোটার? ফলে এটা যে একটা বড় জল মেশানোর মত বিষয়, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল বিরোধীরা। আর সেই ব্যাপারেই এবার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে যারা নিজেদের বৃদ্ধ বাবা, মাকে শতায়ু দেখতে চান, তারা এই সমস্ত জায়গায় তাদের পাঠিয়ে দিন বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন এসআইআর প্রক্রিয়ায় রাজ্যের ২২০৮ টি বুথ থেকে কোনো ফর্ম ফেরত না আসায় সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, ওই ২২০৮ টি জায়গায় গেলে অমরত্ব প্রাপ্তি হবে। যাদের বয়স ৭৫ পেরিয়ে গিয়েছে, তাদের পুত্র, কন্যাদের বলব, বাবা-মাকে যদি শতায়ু করতে হয়, এই বুথে পাঠিয়ে দিন। এত মিথ্যাচার। এটা একটা বড় জলজ্যান্ত চিটিংবাজির প্রমাণ। ২৩ বছর ধরে ওই বুথগুলোতে কেউ মারা গেলেন না! কোনো কন্যা, বোনের বিবাহ হলো না! শিফটিং হলো না! এটা বিশ্বাস করতে হবে? তাই আমরা ৫০ জন বিধায়ক এবং রাজ্য স্তরের নেতা সহ বিরোধী দলনেতা সহ আমরা যে কথাগুলো সিইও দপ্তরে গিয়ে বলেছি, সেটাকে কার্যকর করতে হবে।”