প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে ১ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। আর ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে যখন সেই ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে, যখন সেখানে প্রস্তুতি চলছে, তখন অনেকেই ভাবছেন যে, এর পেছনে কোনো একটি রাজনৈতিক দল নেই তো? যারা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছে, তারাই ঘুরিয়ে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের নামে এই কর্মসূচি করে নিজেদের ভোট ব্যাংক শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে না তো? কিন্তু যারা এই মনোভাব পোষণ করছেন, তারা হয়ত মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কেননা ভোটের সঙ্গে যে সনাতন সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই এবং গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে হিন্দু জাগরণের মধ্যে যে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই, এবার তা স্পষ্ট করে দিলেন এই পাঁচ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজনে থাকা সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ।

ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। প্রচুর সাধু সন্তরা এখানে সামিল হবেন। সমস্ত হিন্দু সনাতনীদের সেই কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। তবে এই রাজ্যের বুকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে, যখনই হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো কর্মসূচি করতে যান, সেখানেই তাদের বাধা দেওয়া হয়। ‌এক্ষেত্রেও কি তেমন কিছু হয়েছে? রাজ্য কি কোনোভাবে তাদের এই কর্মসূচি করতে বাধা দিয়েছে? এক্ষেত্রে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ।

এদিন নির্বাচনের আগে এই ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন প্রসঙ্গে বড় বার্তা দেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, “ভোটের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ভোট তো সারা বছর চলছে। সারা ভারতে চলছে। গীতার যে সৃষ্টি, মোক্ষদা একাদশীতে অগ্রহায়ন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে, ফলে এই তিথিটা তো আসবেই। ভোটের তারিখ সারা বছর যাবৎ হবে। এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ গুলিয়ে দিচ্ছেন।” পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই রাজ্যে হিন্দুদের বড় মাপের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে রাজ্য কি তাদের এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে? এদিন এই ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার সাহায্য যেমন করেনি, তেমন বিরোধীতাও করেনি। এটা খুব ভালো লক্ষণ। আর আপনারা সবাই জানেন, মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ। বিভিন্ন মসজিদেও আমরা জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ।”