প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সামনে বাংলার মান সম্মানকে রীতিমত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। যে বাংলার সরকার, যে বাংলার প্রশাসন সামান্য একটি ক্রীড়া ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে না, যে বাংলায় মেসির মত স্বপ্নের নায়ক আসলেও তার অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পালন করার বদলে মন্ত্রীরা তাকে ঘিরে রাখে এবং তারাই ছবি তোলার চেষ্টা করে, সেখানে এই আদিখ্যেতা দেখে রীতিমত এই রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জনসাধারণ। ইতিমধ্যেই যারা হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন, কিন্তু সেদিন মন্ত্রীদের জন্য, তাদের পরিবারের সদস্যরা মেসিকে ঘিরে থাকার জন্য তারা মেসিকে দেখতে পারেননি, তাদের অবিলম্বে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ গোটা ঘটনায় প্রতিবাদের সুরকে আরও চওড়া করে সাত সকালে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সেই যুবভারতীতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
যুবভারতী কাণ্ডে প্রথম দিন থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গতকালও দাবি করেছিলেন যে, অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করলেও লাভের লাভ কিছু হবে না। এই সমস্ত কিছু নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। অবিলম্বে এই অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসুর মত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে। আর আজ ক্রীড়া প্রেমীদের দাবি মত বড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সকলেই চাইছিলেন যে, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসু সেদিন যে আদিখ্যেতা করেছিলেন, যেভাবে তাদের জন্য হাজার হাজার দর্শক প্রচুর টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে পারেননি এবং তার ফলে এই ধরনের অশান্তি হয়েছে, সেই দুই ব্যক্তিকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আর সেই প্রশ্ন তুলে ধরেই আজ বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে সেই যুবভারতীতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বর্তমানে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে যুবভারতীতে যে অশান্তি কিছুদিন আগে হয়েছিল, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। যে কর্মসূচিতে যুবভারতীতে মেসির যে অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেখানে যে অশান্তি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন শুভেন্দুবাবু সহ বিজেপি বিধায়করা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা “বাংলার লজ্জা মমতা” প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানও দিতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে যুবভারতী কাণ্ডে যতই পদত্যাগের বিষয় সামনে এনে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসব করে যে লাভ হবে না, তারা যে এই বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিবাদের সুরকে আরও চওড়া করবেন, তা সাত সকালেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে যুবভারতীতে পৌঁছে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।