প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে পুলিশ কতটা দলদাসের মত কাজ করতে পারে, তা শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক সভাতে অনুমতি না দেওয়ার মধ্যে দিয়েই ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ইতিমধ্যেই ৯৮ বার আদালত থেকে অনুমতি নিয়েছেন তার সভার জন্য। বারবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু তারপরেও এদের লজ্জা বলতে কিছু নেই। বারবার করে বিভিন্ন সভায় শুভেন্দু অধিকারী অনুমতি নেওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছেন। আর আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছেন। আর তারপরেও শুভেন্দুবাবু যাতে কোনো সভা করতে না পারেন, তার জন্য শেষ চেষ্টা করেছে প্রশাসন। তবে এবার সেই চেষ্টা করতে গিয়ে আদালতে ফের বড়সড় ধাক্কা খেলো এই রাজ্যের পুলিশ।

বারবার আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পরেও বারবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কেন এই রাজ্যের পুলিশ বাধা দিচ্ছে, কেন তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হচ্ছে না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। শুভেন্দুবাবু রসিকতা করে অনেক সময় এটাও বলেন, হয়ত নির্বাচনের আগে তার বিভিন্ন জায়গায় সভা সমিতিতে বাধা দেওয়া এবং আদালত থেকে অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে ১০০ সংখ্যা পেরিয়ে যাবে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ শুভেন্দু অধিকারীর হাসনাবাদের সভা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ সেখানে বাধাদান করে বলে অভিযোগ ওঠে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ ফের এই মামলার শুনানি হলে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে হাসনাবাদে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির ব্যাপারে আদালতের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা এবং যে পুলিশরা শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার ব্যাপারে বা কর্মসূচির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তাদের আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

জানা গিয়েছে, আজ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তার কর্মসূচির ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে হাসনাবাদে দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অর্থাৎ পুলিশ যেভাবে শুভেন্দুবাবুর এই কর্মসূচিতে আপত্তি জানিয়েছিল, তাকে কার্যত খারিজ করে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই কর্মসূচির ব্যাপারে গতকাল আদালতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কথা বলা হলেও, কেন আবার পুলিশ তাতে আপত্তি জানিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী সোমবার সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে নিজের কর্মসূচির ব্যাপারে আবার বড় জয় পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।