প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের পর নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন করার মত ক্ষমতা কারও নেই। বিরোধীরা কার্যত চুপসে গিয়েছে। আর সেই সময় দাঁড়িয়ে বিজেপির কিছু নেতা আছেন, যারা আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে এমন কিছু মন্তব্য করে বসছেন, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। মাঝেমধ্যেই বিরোধীরা বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে। তাই এবার বার বার যাতে এক ভুল না হয়, তার জন্য সতর্ক করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

জানা গিয়েছে, এদিন মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখানেই দলের জনপ্রতিনিধিদের কড়া বার্তা দেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, “একবার ভুল হতেই পারে। কিন্তু নিশ্চিত করুন, সেটা যেন আর না হয়। মুখে লাগাম দেওয়া ভীষণ জরুরি। স্পর্শকাতর অথবা বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে সবাই যেন বিরত থাকেন। শৃঙ্খলা হীনতা এবং বেফাঁস মন্তব্য সেই নেতার পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এই ধরনের ভুল যেন আর না হয়।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, হঠাৎ কেন মধ্যপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে কর্মশালায় এই কথা বলতে হলেও অমিত শাহকে?

 

একাংশ বলছেন, সাম্প্রতিক কালে মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু বিজেপি নেতা একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সেখানকার মন্ত্রী বিজয় শাহ। কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছিলেন, যার ফলে গোটা দেশ জুড়ে বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছিল। এখনও পর্যন্ত সেই ইস্যু টাটকা হয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই মধ্যপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে সেনারা মাথা নত করেছেন বলেও যে মন্তব্য করেছেন, তা সেনাবাহিনীকে অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি করছে বিরোধীরা। তাই এই সমস্ত মন্তব্য যে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে অত্যন্ত ব্যাকফুটে ফেলে দিচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই কারণেই মধ্যপ্রদেশের মাটি থেকে দলের জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মশালায় সব থেকে বেশি তাদের মুখে যাতে লাগাম দেওয়া হয় এবং তারা যাতে কোনোভাবেই কোনো বিতর্কিত মন্তব্য না করেন, সেই দিকেই বেশি নজরদারি চালানোর পাশাপাশি জোর দেওয়ার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ।