প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভারত সামরিকভাবে কতটা শক্তিশালী, কিভাবে তারা শত্রু দেশকে জবাব দিতে পারেহ তা সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতবর্ষ। সকলেই গর্বিত, পাকিস্তানকে ভারত যেভাবে জবাব দিয়েছে, তা নিয়ে। তবে এবার সেই ভারত আরও বড় যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে শত্রু দেশগুলোর যে ঘাম ছুটতে করবে, তা এক কথায় স্পষ্ট। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তার সবুজ সংকেতের ফলেই যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কিন্তু কি সেই পদক্ষেপ?
জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তিন সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে সামরিক অস্ত্র মজুত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এই সমস্ত অস্ত্রের মধ্যে যা যা রয়েছে, তা অত্যন্ত সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে যাকে সুইসাইড ড্রোন বলে অভিহিত করা হয়, সেই রকম অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র, ছাড়াও বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ, এয়ার টু-এয়ার মিসাইল এবং প্রিসিশন আর্টিলারি শেল রয়েছে। মূলত, এই সমস্ত সামরিক বিভাগগুলো অত্যন্ত কার্যকরী শত্রুকে জব্দ করার জন্য। এক্ষেত্রে ভারতীয় ড্রোনগুলো পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে যেভাবে তাদের ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাতে এখন থেকেই আরও বেশি করে উন্নত পদ্ধতিতে যে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন, তা মজুত করার ব্যাপারে জোর দিতে শুরু করেছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ু সেনা কে বি ভি আর ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের থেকেও অনেক বেশি উপযোগী এবং কার্যকরী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অপারেশন সিঁদুরের পর এবার আরও সাঙ্ঘাতিক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ রুখতে ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও কড়া সামরিক কৌশল নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। ভারতের এই কৌশলগত সিদ্ধান্তে রীতিমতো ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। কূটনৈতিক স্তরে উদ্বেগ বেড়েছে ইসলামাবাদের। ভারতীয় সেনার শক্তি ও সদিচ্ছা নিয়ে বার্তা স্পষ্ট—জঙ্গি কার্যকলাপে আর ছাড় নয়। এই নতুন পদক্ষেপের ইঙ্গিতেই পাকিস্তানে কাঁপন শুরু হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। মোদীর এই দৃঢ় অবস্থান ভারতীয় জনমতেরও যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শত্রু দেশ যেভাবে ভারতকে কাবু করার চেষ্টা করেছে, তাতে তারা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর দেখিয়ে দিয়েছে, ভারত সামরিকভাবে কতটা শক্তিশালী! পাকিস্তান বহু চেষ্টা করেও ভারতকে কব্জা করতে পারেনি। উল্টে ভারতের পক্ষ থেকে যে সমস্ত সামরিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তানের এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত সামরিকভাবে আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য যে সমস্ত সামরিক অস্ত্র মজুত করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে, তাতে এর পেছনে প্রধানমন্ত্রীর কৌশল রয়েছে বলে যেমন মনে করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ভারত সামরিকভাবে শক্তিশালী হলে আগামী দিন ভারতকে আক্রমণ করতে আসার সাহস তো অনেক দূরের কথা, তা ভাবার আগেই রীতিমত ছিটকে যাবে শত্রু দেশগুলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।