প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপের ঘটনায় পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা। পুলিশের পক্ষ থেকে দুবার তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তার পরেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা চোখে আসছে না। যার ফলে বারবার করে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন সাধারণ জনতা। পুলিশ নিজের আর কত অপমান সহ্য করবে? এত কিছুর পরেও কেন তাদের লজ্জা নেই? কেন তারা মেরুদন্ড সোজা রেখে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে পারছে না? এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে. কিন্তু এবার সেই পুলিশের সামনেই তৈরি হচ্ছে বড় বিপদ। সময় থাকতেই যদি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই যে নেওয়া হতে পারে অ্যাকশন, তা জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, অনুব্রত মণ্ডল কত বড় গর্হিত অপরাধ করেছেন। তারপরেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অ্যাকশন নেই। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, এটা যদি কোনো সাধারণ মানুষ করত? তাহলে পুলিশ কি করত? আর এই ঘটনার কথা ছেড়ে দিন। যদি সংবাদমাধ্যম কোনো নিরপেক্ষ বিষয়ে প্রতিবাদ করে শাসকের বিরুদ্ধে, যদি কোনো ইউটিউবার শাসকের অনিয়মের বিরুদ্ধে গলা তোলেন, তাহলে তো তাদের অ্যারেস্ট করতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ। সেখানে পুলিশকে অপমান করে, এত কদর্য ভাষা ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন! কোথায় যাচ্ছে রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা? এই সমস্ত প্রশ্ন যখন উঠছে, ঠিক তখনই অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে যদি পুলিশ এভাবেই নিষ্ক্রিয় থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি অ্যাকশন নিতে হয়, তার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন সুকান্তবাবু।

এদিন এই ব্যাপারে সুকান্তবাবু বলেন, “জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তারপরেও তিনি বেল নেননি। তারপরও যদি তাকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে তো এটা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। সেই থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার কেস হবে। আমি আগামী দিনে করব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন সুকান্ত মজুমদার। কাউকে একটা তো বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধতে হবে, এই পুলিশকে শিক্ষা দিতে হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ চুপচাপ বসে রয়েছে, শুধুমাত্র তৃণমূল নেতা বলে তাকে ছাড় দিতে হবে! তিনি যখন বেল নিতে যাবেন, তার আগে পর্যন্ত পুলিশ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে। অর্থাৎ কোনোমতেই তাকে গ্রেফতার করা যাবে না, এটাই এখন পুলিশের কাছে প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য। নিজেদের অপমান কি করে এতটা মুখ বুজে সহ্য করতে পারছে পুলিশ? তা সত্যিই বুঝে পাচ্ছেন না সাধারণ জনতা।

তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সুকান্তবাবু যে কথা বলেছেন, তাতে পুলিশকে টাইট দিতে সত্যিই এই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে এবার একটা মামলা হওয়া উচিত। চরম শিক্ষা দেওয়া উচিত এই রাজ্যের দলদাস প্রশাসনকে। শুধুমাত্র তৃণমূল নেতা বলে তিনি যা ইচ্ছে তাই করবেন, পুলিশকে আক্রমণ করার পরেও সেই পুলিশ চুপচাপ বসে থাকবে, এটা হতে পারে না। তাই অনুব্রত মণ্ডলের তো শাস্তি হবেই, কিন্তু তার আগে যারা সেই শাস্তি দেবে, সেই পুলিশকে শাস্তি দেওয়ানোর জন্য যে টাইটটা দেওয়া দরকার, তার জন্যেই যে একটা প্রস্তুতি সুকান্তবাবু নিচ্ছেন, তা তার কথার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।